গাড়িতে আগুন: প্রতিবাদে হর্ন বাজবে ১৫ মিনিট

খালেদার কার্যালয়ে পানি-বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হবে

আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অবরোধ ও হরতাল প্রত্যাহার না করলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলাশান কার্যালয়ের গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষেদের এক সমাবেশে এ হুমকি দেন শাজাহান খান। অবরোধে বোমা মেরে পরিবহন শ্রমিক হত্যা, মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করার প্রতিবাদের এই সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।
শাজাহান খান বলেন, ‘১৪ লাখের বেশি ছাত্র-ছাত্রী এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তাই ২ দিনের আল্টিমেটাম দিতে চাই। এর মধ্যে অবরোধ-হরতাল বন্ধ না করলে আপনার (খালেদা জিয়ার) কার্যালয়ের সামনে দেশের শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ অবরোধ করে রাখবে। প্রয়োজনে আপনার কার্যালয়ের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনার বাসায় বিএনপি নেতাকর্মীরা যে খাবার ও বাজার নিয়ে যায়, সেটাও প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এমনভাবে আপনাকে একঘোরে করা হবে যে না খেয়ে মরবেন।’
হরতাল-অবরোধের নামে ২০ দল মানুষকে বিষ খাওয়াচ্ছে দাবি করে শাজাহান খান বলেন, ‘যে আগুনে আপনি মানুষকে পোড়াচ্ছেন সে আগুনেই আপনাকে পুড়তে হবে বেগম খালেদা জিয়া।’
বিএনপি চেয়ারপারসনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে শাজাহান খান আরো বলেন, ‘এই দেশ আমরা স্বাধীন করেছি, স্বাধীনতা রক্ষাও আমরাই করবো।’
চারদিনের কর্মসূচি
হরতাল অবরোধের নামে শ্রমিক-কর্মচারী হত্যা ও যানবাহনে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাজাহান খান। একই সঙ্গে দেশবাসীর কাছে ১২ দফা আহ্বানও জানান তিনি।
চারদিনের কর্মসূচিতে থাকছে- ৩১ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিকী বিক্ষোভ সমাবেশ, ৩ ফেব্রুয়ারি সকল জেলা শহরে শ্রমিক-কর্মচারীসহ সব পেশার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, ৫ ফেব্রুয়ারি সব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাস্তায় নেমে, সব গাড়ি, লঞ্চ-স্টিমার ও যানবাহনে টানা ১৫ মিনিট হর্ন বাজিয়ে, সব দোকানদার তার দোকানের সামনে পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজিয়ে এবং কৃষকরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করবে। এছাড়া ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শ্রেণী পেশার নারী, ছাত্র ও যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন করবে শ্রমিক-কর্মচারি-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ। ওই কনভেনশন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, চলচ্চিত্রকার কাজি হায়াৎ, নারী নেত্রী শিরিন আখতার এমপি।
উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকীল প্রমুখ।

গাড়িতে আগুন: প্রতিবাদে হর্ন বাজবে ১৫ মিনিট



মন্তব্য চালু নেই