খালেদার অসমাপ্ত বক্তব্য ১৬ ফেব্রুয়ারি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার আসামি পক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এ দিন মামলাটি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন শুনানির অপেক্ষায় থাকায় অসমাপ্ত বক্তব্য মূলতবি রাখার জন্য সময়ের আবেদন করেন খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি একই কারণে সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ২৬ জানুয়ারি অসুস্থতাজনিত কারণে খালেদা আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার জন্য আজ দিন ধার্য ছিল।
১২ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষী বাতিলের আবেদনটি আদালত নামঞ্জুর করেছেন। তাই এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছি বলে খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন দাখিল করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
৫ জানুয়ারি একই কারণে সময়ের আবেদন দাখিল করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ১২ জানুয়ারি অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
১ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে আদালতকে বলেন। এর পর তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে আংশিক বক্তব্য দিয়ে সময়ের আবেদন করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মন্তব্য চালু নেই