‘খালেদাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা’
‘হত্যার উদ্দেশ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন তার উপদেষ্টা আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে। তা না হলে সরকারের যে পরিণতি হবার তাই হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে জানতে চাই, তারা আবারও ৫ জানুয়ারির মতো একদলীয় নির্বাচন করতে চায় কিনা? যদি করে তাহলে তারা বাংলাদেশের মীরজাফর হিসেবে চিহ্নিত হবেন।’
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীরা পুলিশের ভয়ে ঠিকমত রাস্তায় নেমে আসতে পারছেন না। তারা ঘরে থেকেও নির্যাতিত হচ্ছেন। নেতাকর্মীদের বলব, গণতন্ত্রের বিজয়ের জন্য আপনারা মাঠে নেমে আসুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো স্বৈরাচার সরকার গায়ের জোরে বেশিদিন থাকতে পারেনি। এরাও থাকতে পারবে না। গাড়িবহরে হামলাকারীদের বিচার করতে সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে ১৬ কোটি মানুষ তার জবাব দেবে।’
বাংলামোটরে হামলার শিকারের পর বিএনপি চেয়ারপারসন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে দলের সিনিয়র ও ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’ এর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারণা চালাতে পঞ্চম দিনের মতো বের হন খালেদা জিয়া।
বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে গাড়িবহর নিয়ে বের হন তিনি। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বাংলামোটরে একদল যুবক লাঠিসোটা নিয়ে গাড়িবহরে হামলা চালায়।
বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে তার গাড়িবহর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছায়। এরপর তিনি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিনিয়র নেতা ও ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’ এর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক বসেন খালেদা জিয়া।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন— বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পুলিশের সাবেক আইজি এম এ কাইয়ুম, আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ, কমিটির সদস্যসচিব চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান।
মন্তব্য চালু নেই