খালেদাকে সাজা দেয়া প্রধানমন্ত্রীর মনের বাসনা : রিজভী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হবে সরকারদলীয় লোকেরা কী করে জানলেন- এমন প্রশ্ন রেখে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটা সরকারি দলের ও দলীয় প্রধানের মনের বাসনা।

প্রতিহিংসা করার হীন পরিকল্পনা। হীন পরিকল্পনা কখনো বাস্তবায়ন হবে না। অন্যের জন্য গর্ত করলে সেই গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়। তাদেরকে এটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রিজভী।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না। এটা আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম। দেশের মানুষ অবৈধ নির্বাচন হতে দেবে না, মানবে না। আমরা সুস্পষ্ট করে বলেছি নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে হবে।

বিএনপির কার্যালয় নিলামে উঠার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এ বিষয়ে রিজভী বলেন, নিশ্চয়ই দলের আইন-বিষয়ক সম্পাদক সানাইল্লাহ মিয়া বিস্তারিত বলেছেন। এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও দলের শীর্ষ নেতারা বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন।

শুক্রবারও জার্মানির মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রমাণ হলে খালেদা জিয়ার শাস্তি হবেই। সেখানে তিনি আরও বলেন, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাসহ চলমান বিচারাধীন মামলাগুলো ১/১১ তে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা, কিন্তু বাস্তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাসহ বেশির ভাগই করা হয়েছে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।

রিজভী বলেন, দুদককে ব্যবহার করে এই মামলার চার্জশিটও দেয়া হয়েছে তাদেরই আমলে। এমনকি যে মামলাগুলো ১/১১ সরকারের সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত ছিল সেই মামলাগুলোও তারা আবার চালু করেছে। অথচ একই মামলাগুলোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীরও নাম ছিল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ১/১১ এর সরকার যতগুলো মামলা দিয়েছিল তার তিনগুন মামলা দায়ের করা হয়েছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

তিনি ১৫টি মামলা মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। সেই মামলাগুলি উড়ে গেল কিভাবে ? প্রধানমন্ত্রী তো আইন মোকাবেলা করে সে মামলাগুলো থেকে মুক্ত হননি।

তিনি আরও বলেন, সেই সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির অনেক মামলাতেই স্বয়ং তার ভাই এবং তার দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক যেসব বক্তব্য দিয়েছিলেন তা দেশবাসী ভুলে যায়নি। এর চেয়ে বড় সাক্ষী আর কী হতে পারে ? কিন্তু ক্ষমতাসীন হয়েই শেখ হাসিনার মামলাগুলো প্রত্যাহার হয়ে গেল কোন যাদু মন্ত্রবলে? ক্ষমতায় থাকলে যে নিজের মামলা তুলে নেয়া যায় এবং অন্যের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যায়, তার উজ্জল দৃষ্টান্ত হচ্ছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলাই রাজনৈতিক এবং তা হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধুমাত্র বিএনপি চেয়ারপার্সনকে হয়রানি করার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলমান রাখা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই