খাবারে রক্ত মেশাতেন কঙ্গনা?

শুধু হৃতিক রোশনই নন, কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে সরব হলেন তাঁর আর এক প্রাক্তন প্রেমিক, অভিনেতা শেখর সুমনের ছেলে, অধ্যয়ন সুমন।

কঙ্গনার কি সত্যিই ‘অ্যাসপারজার সিনড্রোম’ রয়েছে? একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, কঙ্গনার সঙ্গে যে দু’বছর তিনি সম্পর্কে ছিলেন, সেই সময়টুকু ছিল ভয়াবহ!

কঙ্গনার পাগলামো কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তার খতিয়ান দিয়েছেন অধ্যয়ন সুমন। তাঁর দাবি, কঙ্গনার মুখে একের পর এক শোনা যেত নিকৃষ্ট মানের গালাগালি। যেমন ‘রাজ ২’-এর পরে মহেশ ভট্ট ফোন করেছিলেন অধ্যয়নকে। তাঁর কাজের দিলখোলা প্রশংসা করেছিলেন। কঙ্গনার কানে এই খবর যেতেই নাকি তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অধ্যয়নকে বলেন, ‘ আমাকে কেন কেউ ফোন করছে না? তোকেই কেন করছে?’

হৃতিকের জন্মদিনের পার্টির প্রসঙ্গ তুলেছেন অধ্যয়ন। তাঁর দাবি, পার্টিতে কোনও এক অভিনেতা কঙ্গনার শরীরের বিশেষ স্থানে হাত দিয়েছিলেন। এর পরেও কঙ্গনা পার্টি চালিয়ে যান। কিন্তু আচমকা পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। সিঁড়িতে অধ্যয়নকে ক্রমাগত সপাটে চড় মারতে থাকেন। অশ্লীল শব্দ মিশিয়ে বলতে থাকেন, অধ্যয়ন তাঁর সাফল্যে হিংসা করছেন।

এখানেই শেষ নয়। অধ্যয়নের দাবি, গাড়িতেও তাঁকে গালাগালি করার পাশাপাশি মারধর করেছিলেন কঙ্গনা। অধ্যয়ন বলেছেন, ‘আমাদের পরিবারের ২০ বছরের ড্রাইভার কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বলেছিলেন, তুমি যদি আমাকে একটুও ভালবাসো, তা হলে বাড়ি চল। সেই রাত আমি ভুলব না। আমি কঙ্গনাকে বাড়িতে নামানোর পরে ও আমার দিকে জুতো ছুড়ে মেরেছিল।’

এর পরে অধ্যয়ন যা বলেছেন, তাতে গায়ের রোম খাড়া হয়ে উঠবে। অধ্যয়নের দাবি, মাঝরাতে বাড়িতে ডেকে পুজোপাঠের নামে কঙ্গনা তাঁর উপরে ঝাড়ফুঁক করতেন। অধ্যয়ন বলেছেন, ‘আমাদের পারিবারিক পুরোহিত একদিন আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন কঙ্গনা আমার জন্য রান্না করে কি না। আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ। তখন উনি বলেছিলেন, নিশ্চিন্তে থাকো। ওর অশুদ্ধ রক্ত ও তোমার খাবারে মেশাচ্ছে।’



মন্তব্য চালু নেই