খাদ্যাভাসে দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে করণীয়

দূষিত পদার্থ মিশ্রিত বাতাস গ্রহণ, নিজে বা পাশের কেউ ধুমপান কারী, বাজে খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত ঘুম এবং দেহের সঠিক পরিচর্যা না করার কারণে আমাদের দেহে প্রবেশ করে বিষাক্ত পদার্থ। এগুলো ধীরে ধীরে আমাদের কিডনি, লিভার ও হার্ট নষ্ট করে দেয়। একসময় আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনে। অথচ উত্তম খাদ্যাভ্যাসে দেহ থেকে এই ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করা সম্ভব। আজ জেনে নেয়া যাক আমাদের দেহের ক্ষতিকারক পদার্থ দূরকারী কিছু খাবার সম্পর্কে।

বাঁধাকপি

নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে লিভারের ক্ষতিকারক পদার্থ দূর হয়। বাঁধাকপির গুণ লিভারকে সুস্থ-স্বাভাবিক ও কলেস্টোরলমুক্ত রেখে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও বাঁধাকপি আমাদের হজমের ক্রিয়া উন্নত করে। ফলে আমাদের দেহের বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে ক্ষতিকরক পদার্থ বের করে দেয়।

কাঁচা রসুন

খাবারের সঙ্গে অনেকে কাঁচা রসুন খেতে অভ্যস্ত, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর গন্ধের জন্য কাঁচা কেউ খেতে চান না। তবে প্রতিদিন অন্তত দুই কোয়া করে কাঁচা রসুন খেলে দেহের নানা রকম ব্যথাসহ ক্ষতিকারক উপাদান বের করে দিতে সহায়তা করে থাকে।

আদা

আদাকে ওষুধ হিসেবে অনেক প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার করে আসছেন চীনের মানুষজন। এখনো তারা সুস্বাস্থ্যের কামনায় নিয়মিত আদা চা পান করে থাকেন। আদা চায়ের পাশাপাশি কাঁচা আদা খেলে আমাদের লিভার থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর হয় এবং লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

লেবু

লেবুর রস আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। সকালে মাত্র ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে আমাদের লিভারের কর্মক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আমাদের লিভার ও কিডনি পরিষ্কার করে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

কাঁচা হলুদ

কাঁচা হলুদের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। কাঁচা হলুদে থাকা উপাদান আমাদের দেহের নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে। কাঁচা হলুদ ভালো করে ব্লেন্ড করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আমাদের লিভারের টক্সিন দূর করা সম্ভব। তাই হলুদকে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

ব্রোকলি

পুষ্টিগুণ অন্যান্য যেকোনো সবজি থেকে ব্রোকলি অনেক বেশি সমৃদ্ধ। ব্রোকলির সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে এটি আমাদের লিভারের ভেতর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। তাই খাদ্য তালিকায় ব্রোকলি রাখা অত্যন্ত জরুরি।

গ্রিন টি

চা কফির মধ্যে গ্রিন টি সবচেয়ে কার্যকরী পানীয়। গ্রিন টির উচ্চতর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের লিভার ও কিডনিকে পরিষ্কার রাখে। তাই চা বা কফি পানের অভ্যাসটাকে বদলে গ্রিন টি পান করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ।

পানি

আমাদের লিভার ও কিডনির সুরক্ষায় সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে পানি। একমাত্র পানিই আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে পৌঁছে দেহের ক্ষতিকারক উপাদান বয়ে এনে মুত্র থলিতে জমা করে। তাই প্রতিদিন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করে উচিৎ।



মন্তব্য চালু নেই