খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় বদরুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বদরুলকে।
বুধবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ রায় দেন। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি বদরুল আলম।
এ রায়ের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সহিংসতার বিচার পেলেন খাদিজা।
এর আগে রোববার যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এই মামলায় পুরো রায় বাংলায় লেখা হবে বলে আদালতের বিচারক ওই দিন ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস।
শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল আলম চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে খাদিজাকে। বর্বর হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে খাদিজাকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরবর্তীতে পুনর্বাসনের জন্য সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয় খাদিজাকে।
প্রায় ৫ মাস চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের গ্রামের বাড়ি ফেরেন খাদিজা।
অপরদিকে খাদিজার ওপর বর্বর হামলাকারী ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হামলার ঘটনার পর ছাত্রলীগ বদরুলকে বহিষ্কার করে।
এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি খাদিজা আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন।
এর আগে ২৯ নভেম্বর এই মামলার একমাত্র আসামি বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
৮ নভেম্বর শাহপরাণ থানার এসআই হারুনুর রশিদ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরবর্তীতে ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ৫ অক্টোবর বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
১ মার্চ সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই