খলিল জানে না, বেঁচে থাকার র্অথ কী?
সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : মানুষের জীবনের মৃত্যু একটি গতানুগতিক নিয়ম। কিন্তু খলিলের জীবনটা একটু ভিন্ন। যখন তখন কেঁদে ফেলেন সন্ধারই উত্তর পাড়ার মৃত নজর আলীর ছেলে মো:খলিল। পিয়নে চাকুরি তার। অভাব অনটনের সংসারে খলিলের বউও কঠিন পরিশ্রমী। দু’সন্তান নান্নু ও নাহিদ।জাতীয় ভাবে শ্রেষ্ঠ রাণীশংকৈল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নবম ও সপ্তম শ্রেনির ছাএ।
২৯ জানুয়ারি শুক্রবার ছুটির দিন সকালে আকাশে কাল মেঘে মৃদু র্গজনে সারা জীবনের উর্পাজন ও শ্রমের ইতি টানলেন দু’সন্তানের বির্সজনের মাধ্যমে। সাঁতার না জানা খলিল নদীতে গরু নিয়ে গোছল করতে আসা স্মৃতিকে ভুলতে পারছেন না কোন ভাবেই। কারন, গভীর পানিতে চোখের সামনে এক এক করে আদরের দ,সন্তান কে তলিয়ে যেতে দেখে দিশেহারা এখন খলিল আর খলিলের বউ র্নাগিস। স্বপ্ন ,স্বাধ বিহীন জীবন্ত জড় পর্দাথ হিসেবে নিজেকে দাবী করেন খলিল। ছাঁয়ার মত স্মৃতি পীছু ছাড়ে না কেন? এমনি ভাবে ,আঁচলে চোঁখ মুছতে মুছতে কাঁন্নায় ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওঠেন স্ত্রী র্নাগিসও। সন্তানদের হারিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতে হয় প্রতিনিয়ত তাদের ! অথচ সমাজের মানুষদের সামনে ’বেশ ভাল আছি’! অভিনয় করে যেতে হচ্ছে প্রতিটি ক্ষণ!!
পাগল প্রায় খলিল। আবেগ আপ্লুত খলিল জানে না, বেঁচে থাকার র্অথ কী ? রোজ রোজ সন্তানের কবরের পাশে দু’চোখের কোণ ঘেঁষে নি:শব্দে জল গড়িয়ে পরে, শুধুই শুন্য আকাশের দিকে ফেল ফেল করে তাকিয়ে থাকে !!
মন্তব্য চালু নেই