কয়েকজন ক্রিকেট তারকা যাঁরা চোখের পলকে রাজা থেকে ফকির হয়েছেন

রইল এমন কয়েকজন ক্রিকেট তারকার খবর, যাঁরা একদা ছিলেন খ্যাতি ও অর্থের শীর্ষে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবকিছু হারাতে হয় তাঁদের।

• অ্যাডাম হোলিওক
১৯৯৯ সালে অ্যাডাম হোলিওক ইংল্যান্ডের জন্য খেলেছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি তাঁর পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। সেই সময়ে তাঁর চরম অর্থাভাব দেখা দেয়। ২০০৯ সালে তাঁর কোম্পানিও বন্ধ হয়ে যায় এবং তাঁকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করা হয়। সেই সময়ে নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তিনি ‘মিক্সড মার্শাল আর্ট’ বা এমএমএ-তে যোগদান করেন। একটি পত্রিকায় তিনি জানিয়েছিলেন সেই চরম মুহূর্তে তিনি তাঁর সন্তানদের জন্য খুবই দুঃখ পেতেন।

• গ্রেম পোলোক
সাউথ আফ্রিকার উজ্জ্বল ক্রিকেট তারকা বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান গ্রেম পোলোক। তিনিও তাঁর জীবনে এক চরম অর্থাভাবে পড়েন। শুধু তাই নয়, ঠিক সেই সময়েই তাঁর কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে। ফলে তাঁর অর্থাভাব বাড়তেই থাকে। তাঁর শেষ সম্বল, নিজের বাড়িটি হারানোর ভয়েতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে পোলোকের এজেন্টের তরফ থেকে বিসিসিআই-এর কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল আর্থিক দিক থেকে তাঁকে সাহায্য করার জন্য।

• পল স্ট্র্যাঙ্গ
৯০-এর মাঝামাঝি সময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন জিম্বাবোয়ের পল স্ট্র্যাঙ্গ। লেগ স্পিনার হিসেবেই তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। রাজনৈতিক কারণেই তিনি বাধ্য হয়েছিলেন খেলা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে। তার পর থেকেই তিনি চরম অর্থাভাবের মধ্যে দিয়ে যান। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছিল আর তাঁর জেরেই আত্মহত্যারও চেষ্টাও করেছিলেন।

• ম্যাথু সিনক্লেয়ার
প্রথম টেস্ট ম্যাচে তিনি ডবল সেঞ্চুরি করার জন্যই তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই তাঁর অর্থাভাব শুরু হয়। কিছুদিন যাবৎ তাঁকে সেলসম্যানের কাজও করতে হয়।

• ক্রিস কেয়ার্নস
ক্রিকেট জগতের এক অল রাউন্ডার ছিলেন ক্রিস কেয়ার্নস। খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিনি দুবাইতে হিরের ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৩ সালে আইপিএল-এ ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে তাঁর নাম জড়ায়। আইনি জটিলতায় তাঁর বেশ কিছু টাকা খরচ হয়ে যায়। ২০১৪ সালে তিনি আদালতে মিথ্যে সাক্ষ্যদানের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এসব কিছু চাপে পড়ে তাঁর আর্থিক অবস্থাও বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই