কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা : খালেদার দুই আবেদন খারিজ
নিম্ন আদালত থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার নথি তলব এবং ২০০৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া অব্যাহতিপত্র তলব করতে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাই কোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
মামলাটি বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল শুনানির সময় এ দু্টি আবেদন করা হয়েছিল। গত ১৯ অগাস্ট শুনানি শেষে আদালত বিষয়টি রবিবার আদেশের জন্য রেখেছিল।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এই আদালতেই একই মামলা বাতিল বিষয়ে প্রায় সাত বছর আগে জারি করা রুলের ওপর শুনানি চলছে।
আদেশের পর খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী বলেন, “আবেদন দুটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। রুল শুনানির জন্য আগামী ৩০ অগাস্ট দিন রাখা হয়েছে।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ১০ মন্ত্রীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খনি দুর্নীতির মামলা হয়।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় দুদক এ মামলা করার পর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অফ চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি করেছেন।
২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর খালেদার বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাই কোর্ট। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেওয়া হয়। হাই কোর্টের ওই আদেশ আপিলেও বহাল থাকায় আটকে যায় খনি দুর্নীতি মামলা।
সাত বছর পর চলতি বছরের শুরুতে দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নিলে হাই কোর্টের দেওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
মন্তব্য চালু নেই