ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়াই এ সরকারের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

একটা মানুষও যেন ক্ষুধায় কষ্ট না পায় সে লক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যাতে একটা মানুষও ক্ষুধায় কষ্ট না পায়।এক্ষেত্রে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে- সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সেভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি কৃষক, মজুর, গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য।’ কৃষি উৎপাদন বাড়াতে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।’

কৃষিকে সম্মানজনক পেশা হিসেবে আখ্যা দিয়ে, শিক্ষিত সমাজকেও এ পেশায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় ধান চাষকে দক্ষিণাঞ্চলে আর শস্যজাতীয় ফসল চাষকে উত্তরাঞ্চলে নিয়ে যেতে গবেষণা চলছে বলেও জানান তিনি। সুষ্ঠু নীতিমালা অনুযায়ী জমি ব্যবহারের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রতিনিয়ত কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। এ সময় নগরায়ন ও শিল্পায়নের জন্য উর্বর জমি নষ্ট না করারও আহ্বান জানান তিনি।

খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গবেষণায় জোর দিয়েছি বলেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই গবেষণাকে
আরো জোরদার করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারিভাবে খাদ্য সংগ্রহ বাড়ানোরও পরামর্শ দেন তিনি।

যথাযথভাবে খাদ্য সংরক্ষনের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুদাম স্থাপন ও খাদ্য গুদামজাতকরণ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে হবে- যাতে খাদ্য নষ্ট না হয়।

এ সময় হতদরিদ্র মানুষের কল্যানে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ
হাসিনা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফেয়ার প্রাইস কার্ড, ওএমএসসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রামীণ হতদরিদ্রদের মধ্যে ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখা, টিআর এবং স্বল্পমূল্যে ও বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। দেশ থেকে মঙ্গা দূর করা হয়েছে।

ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, খাদ্যসচিব মুশফিকা ইফফাতসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই