ক্রমেই বাড়ছে পদ্মার ভাঙন তাণ্ডব

বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বদলে যাচ্ছে মুন্সীগঞ্জ জেলা! সর্বগ্রাসী উত্তাল পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে বর্ষার শুরুতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী- এ তিনটি উপজেলার নদীতীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভাঙন শুরু হয়েছে। যেন জেলার মানচিত্র গিলে খেয়ে বদলাতে বসেছে সর্বগ্রাসী পদ্মা নদী। এতে এই তিন উপজেলা এলাকার সহস্রাধিক লোকজনের ভাঙন আতঙ্ক বেড়েই চলেছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পদ্মার ছোবলে আক্রান্ত হয়েছে লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকার অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ও ঘর।

পদ্মার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌসার জামে মসজিদসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।

এদিকে, শ্রীনগর উজেলার বেশ কিচু এলাকা চলে গেছে নদীগর্ভে। রোববার পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে নদীভাঙন বেড়েই চলেছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা তীব্র স্রোতের কবলে পড়ায় দেড় সপ্তাহ ধরে লক্ষাধিক জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙন যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীর আশঙ্কা ও সন্দেহ, আদৌ কি স্বপ্নের পদ্মা সেতু হবে, নাকি হবে না।

এদিকে, শ্রীনগর উপজেলার মান্দ্রা, কবুতর খোলা, বাঘড়া, ভাগ্যকুল বাজার, কেদারপুর, মাগডাল গ্রাম, চাড়িপাড়ায় পানির তীব্রতা ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মুন্সীগঞ্জের মানচিত্র দিনের পর দিন ছোট হয়ে একসময় বাংলাদেশ থেকে এ জেলার মানচিত্র বদলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।



মন্তব্য চালু নেই