কোম্পানীগঞ্জের ৬ ইউনিয়নে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী

এম.এ আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পৌর নির্বাচনের মতো ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ছয়টিতেই জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন।

এ নিয়ে ২০-দলীয় জোটের প্রধান দুই শরিক বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে নতুন করে টানাপোড়েন চলছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন নিয়েই কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়।

জোটগতভাবে নির্বাচন না করে পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মোশারফ হোসেন মেয়র পদে পৃথক নির্বাচন করেন। নির্বাচনে অবশ্য তাঁরা দুজনই পরাজিত হয়েছেন।

সূত্র জানায়, পৌর নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও। বিএনপির কাছ থেকে জোটগত নির্বাচনের বিষয়ে সাড়া না পেয়ে জামায়াত একলা চলার নীতি অবলম্বন করে। বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগেই ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ টিতে জামায়াতের ‘স্বতন্ত্র’ দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ও জমা দেন।

এর মধ্যে সিরাজপুর ইউনিয়নে উপজেলা জামায়াতের আমির মো. বেলায়েত হোসেন, চর পার্বতীতে ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি কাজী মো. হানিফ, চর হাজারীতে ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, মুছাপুরে ইউনিয়ন সহসভাপতি মো. মহিউদ্দিন, চর এলাহীতে ইউনিয়ন কমিটির সদস্য আবদুর রব ওরফে নাছের ও চর কাঁকড়ায় ইউনিয়ন সভাপতি গোলাম ফয়সাল চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র দলীয় প্রার্থী হয়েছেন।

উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে এ প্রতিনিধিকে বলেন, তাঁরা জোটগত নির্বাচন করার বিষয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছেন। বিএনপি প্রথমে ৪টি, পরে ৩টি এবং সর্বশেষ ২টি ইউনিয়ন জামায়াতকে ছেড়ে দিতেও রাজি হয়েছিল; কিন্তু দলের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরাতে না পারায় জামায়াত প্রার্থিতা বহাল রাখে।

এ অবস্থায় প্রতিটি ইউনিয়নেই জামায়াত জেতার মনোভাব নিয়ে কাজ করছে বলেও দাবি করেন এই নেতা। জোট গত নির্বাচনের বিষয়ে জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিএনপির উপজেলা সভাপতি আবদুল হাই ওরফে সেলিম।

রোববার দুপুরে তিনি বলেন, ‘জামায়াত প্রথমে ৩টি ইউনিয়ন তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি করে। আমরা ২টি দিতে রাজি হয়েছি। কিন্তু পরে বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রার্থীরা ছাড় দিতে রাজি না হওয়া সমঝোতা হয়নি।

’বিএনপির নেতা আবদুল হাই বলেন, জামায়াত বিএনপির সঙ্গে না থাকলে ভোটে বিএনপির প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই।

কারণ জামায়াত কতটা শক্তিশালী, তা গত পৌর নির্বাচনের ভোটে অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইউনিয়ন পর্যায়েও জামায়াতের আগের মতো জনসমর্থন নেই, যা দিয়ে তারা ভোটের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারবে।



মন্তব্য চালু নেই