কোন আঙুলে আংটি পরলে কী বোঝায়? জেনে নিন, আংটি নিয়ে অবাক করা তথ্য…

বিগত কয়েক হাজার বছর ধরে পুরুষদের ফ্যাশন স্টেটমেন্টের সঙ্গে আংটি ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। কখনও সেটা সম্পত্তির আড়ম্বর, কখনও বা সেটা একটি মেসেজ বহন করে। আপনিও কি আংটি পরেন? তা হলে দেখে নিন, কোন আঙুলে পরা আংটি কোন স্টেটমেন্ট বহন করে। একনজরে আংটি পরার গাইডলাইন।

১) কড়ে আঙুলঃ

সাধারণ যাঁরা স্টেটমেন্ট রিং পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য কড়ে আঙুলে আংটি পরাই আদর্শ। এ আঙুলে আংটি পরার আরও কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। সাধারণত, এ আঙুলের আংটির পরার সঙ্গে বিশেষ কোনও রীতি জড়িয়ে নেই। তাই ইচ্ছে হলে পরে ফেলুন। দ্বিতীয়ত, শেষের আঙুলে আংটি থাকার দরুন তা ভারী কাজ করার সময় বিশেষ কোনও বেগ দেয় না।

২) অনামিকা বা রিং ফিঙ্গারঃ

নামেই পরিষ্কার ইঙ্গিত রয়েছে। সাধারণত ডান বা বাঁ হাতের অনামিকায় বিয়ে বা বাগদানের আংটি পরারই রীতি রয়েছে। তবে বিভিন্ন দেশে হাতের পরিবর্তন হয়। মনে করা হয়, বাগদানের আংটি পরা হয় ডান হাতে। বিয়ের আংটি পরা হয় বাঁ হাতে। আরও একটি ব্যাপার এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে, এই আঙুলের সঙ্গে নাকি হৃদয়ের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই এমন রীতি তৈরি হয়েছে।

৩) মধ্যমাঃ

হাতের সব থেক বড় আঙুল। যাঁরা বিয়ের আংটি বা স্টেটমেন্টের চক্করে পড়তে চান না, তাঁরা সেফ খেলুন। আপনার জন্য মধ্যমাই বেস্ট অপশন। মনস্তত্ত্ব বলে, যাঁরা প্রথমবার আংটি পরেন, তাঁরা মধ্যমাকেই প্রথমে বেছে নেন। কারন একটাই, এটা দেখতে ‘ম্যানলি’ লাগে। তবে যে কোনও ভারী কাজের সময় একটু অসুবিধা হতে পারে, তাই ছোট আংটি পরাই ভালো।

৪) তর্জনীঃ

বুড়ো আঙুলের পরে যে আঙুলটি সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয়, সেটা হল তর্জনী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই আঙুলটি বেশিরভাগ পুরুষই ফাঁকা রাখতে পছন্দ করেন। তবেএটা সাম্প্রতিক ধারণা। কয়েক শো বছর আগে পর্যন্ত এ আঙুলেই আংটি পরতে বেশি পছন্দ করতেন পুরুষরা। এই আঙুল ফ্যামিলি রিং, ফ্রেটারনাল রিং প্রভৃতি পরার জন্য আদর্শ।

৫) বুড়ো আঙুলঃ

সাধারণত এ আঙুলটি আংটি পরার জন্য বিশেষ ব্যবহৃত হয় না। তবে এখনকার শহুরে পুরুষদের মনস্তত্ত্ব অনুযায়ী, অর্থের প্রাচুর্য, পরিবারের বিরাট সম্পত্তির বহিঃপ্রকাশ করতে অনেকেই এই আঙুলকে আংটি পরার জন্য বেছে নিচ্ছেন। আপনিও পরতে পারেন তবে খেয়াল রাখবেন, আংটি যেন বিরাট আকৃতির না হয়। এমনিতেই সব থেকে মোটা আঙুল এটি। তার ওপর যদি পাথর দেওয়া মোটা আংটি হয়, তবে দেখতে খুবই বেমানান মনে হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই