কোনো দিক থেকেই পিছিয়ে থাকবো না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৫তম বছরে পা দিয়েছি আমরা। কোনোদিক থেকে পিছিয়ে থাকবে না আমাদের দেশ। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আমরা এগিয়ে যাবো। শনিবার সকালে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সময় আমরা সবসময় বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি। এদেশের মানুষের শিক্ষার সুযোগ ছিল না, তারা চিকিৎসা পেত না, তাদের খাবার ছিল না, আশ্রয় ছিল না। আমাদের অর্থ-সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। এমনকি আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলারও অধিকার তারা কেড়ে নিতে চেয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তখন তিনি প্রথম রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ছয় দফা, সত্তরের নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি দেশকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরসহ শিশু-কিশোর-নারী-বৃদ্ধ, কাউকেই রেহাই দেয়নি তারা। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার আহ্বানে মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয়মাসের যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। জাতির পিতা বাঙালির মনে স্বাধীনতার চেতনার জন্ম দিয়েছেন।
শিশুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে আমাদের অবস্থান যাতে আরও সুদৃঢ় হয় আত্মমর্যাদাশীল হয় সেভাবে আমরা দেশকে গড়ব। তোমরা সোনামণিরাই নিজেদের গড়ে তুলবে। আজ তোমরা ছাত্রছাত্রী, কিন্তু আগামী দিনে তোমরাই কর্ণধার হবে। তোমরাই এ দশ পরিচালনা করবে। তোমরাই তো আমাদের মতো মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হবে।
দেশবাসীকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের শেষে তিনি জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
মন্তব্য চালু নেই