কোটালীপাড়ায় ১৭২ টি মন্দির ঝুঁকিপূর্ণ!

জাকারিয়া শেখ, গোপালগঞ্জ থেকে : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আসন্ন দূর্গাপূজাঁয় ২৬৮ টি মন্দিরের মধ্যে ১৭২ টি মন্দিরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৯১ টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮১ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেখানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে পুলিশের পক্ষথেকে জানানো হয়েছে। আগামী ৬ অক্টবর থেকে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোটালীপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র দাম বলেন,‘যেহেতু পুলিশ ঝুঁকিপূর্ণ মন্দিরের তালিকা তৈরি করেছে সেহেতু দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি এই তালিকা ঠিক’। দেবকগ্রামের সমাজসেবক দেবদুলাল বসু বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে দেবকগ্রাম দূর্গা মন্দিরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর আমরা আগামী দূর্গাপূজা নিয়ে আশঙ্কায় আছি। আমি গত বছরের চেয়ে এবছর প্রত্যেকটি মন্দিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি’। উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন,‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ আমাদের এই কোটালীপাড়া। এখানে প্রত্যেক বছর সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে দূর্গোৎসব পালন করে থাকে। আমি মনে করি পুলিশ প্রশাসন যে ঝুঁকিপূর্ণ মন্দিরের তালিকা তৈরি করেছে তা-সঠিক নয়’। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম ফারুক বলেন, দূর্গাপূজায় মন্দিরগুলোতে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তার জন্য আমরা সকর প্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। ঝুঁকিপূর্ন মন্দিরগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মন্দিরে এলাকার যুবকদের দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হবে। দেবকগ্রাম মন্দিরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ৩০ আগষ্ট রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে দেবকগ্রাম দূর্গামন্দিরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরের দিন ৩১ আগষ্ট অজ্ঞাতদের আসামি করে মন্দির কমিটির পক্ষথেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলার তদন্ত করছে।



মন্তব্য চালু নেই