কোকোর মৃত্যুতে আ’লীগের শোক, ‘আস্থা নেই শিমুলের কথায়’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একই সাথে দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের গেটে দাঁড় করিয়ে রেখে আবারও যাওয়ার আমন্ত্রণ বিষয়ে বলেছে- ‘যারা প্রধানমন্ত্রী গেটে যাওয়ার পরও সৌজন্য দেখাতে পারে না, তাদের কোনো কথায়ই সত্যের লেশমাত্র নেই।’

ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে রবিবার সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোকোর মৃত্যুর পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যতে খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে তার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে গিয়ে কার্যালয়ের গেট বন্ধ থাকায় কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে আসেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছার আগে খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়াকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে চলে যাবার পর শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার আসতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- দলের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ডাবলু, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, এস এম কামাল প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, প্রধানমন্ত্রী গুলশান কার্যালয় ত্যাগ করার পরই খালেদা জিয়া তাকে ধন্যবাদ জানালেন। এটা কেমন ইনজেকশন জানি না।’

এ সময় পাশে থাকা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলুকে দেখিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঘুমের ইনজেকশন নিলে তো কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকার কথা।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমাদের পরিশীলিত হতে ও সৌজন্যবোধ শেখায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ সামাজ-সংস্কৃতিতে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এমন ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। ভবিষ্যতেও ঘটবে কিনা জানা নেই।’

ড. হাছান শিমুল বিশ্বাসের শোক বই প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৫ মিনিট গুলশান কার্যালয়ে অপেক্ষা করেন। শিমুল বিশ্বাস নাকি শোক বই নিয়ে এসেছিলেন। খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দূরত্ব ছিল ৫ গজ। শিমুল বিশ্বাসের ১ মিনিটও লাগার কথা নয়। শোক বইয়ের গল্প এই ন্যক্কারজনক ঘটনা আড়ালের চেষ্টা।’



মন্তব্য চালু নেই