কে এই মাহতাব খামারু?
সোমবার সকালে মাহতাব খামারুকে আটক করেছে বাগমারা থানা পুলিশ। এরআগে উইকিলিকসে প্রকাশ করা গোপন নথিতে তার নাম থাকায়ও দেশজুড়ে আলোচনা রয়েছে তাকে নিয়ে। কিন্তু কে এই মাহতাব খামারু?
সে বাগমারা উপজেলার তালঘরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী খামারুর ছেলে। কিন্তু এটাই তার একমাত্র পরিচয় নয়। তার এ পরিচয় ছাপিয়ে সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন ২০০৪ সালে।
সর্বহারা ভয়ে সন্ত্রস্ত জনপদ রাজশাহীর বাগমারায় বাংলা ভাইয়ের হাত ধরে মাহতার খামারুর উত্থান। ওই এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করার নামে নারকীয় তাণ্ডব চালায় সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যরা। এই বাংলা ভাইয়ের অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিলেন এই মাহতাব খামারু।
ওই সময় প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষকে মেরে গাছের সঙ্গে টাঙিয়ে রাখা হয়। শত টুকরা করে পুঁতে রাথা হয় মাটির নিচে। এমনই বিভীষিকাময় পরিস্থিতি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।
এখানেই থেমে থাকেননি খামারু। চাপের মুখে এলাকা ছেড়ে পরে জেএমবিতে যোগ দেন। দায়িত্ব পান দলের আঞ্চলিক কমান্ডারের। পরিকল্পনা করেন ১৭ আগষ্ট দেশব্যাপি সিরিজ বোমা হামলার। তাকে ধারণা করা হয় এই হামলার দ্বিতীয় পরিকল্পনাকারী হিসেবে।
অবশেষে টনক নড়ে সরকারের। বাংলা ভাইসহ অন্যদেরকে ধরতে চালানো হয় চিরুনি অভিযান। ২০০৫ সালের ২৭ নভেম্বর এ খামারুকে গ্রেফতার করে র্যাব। কিন্তু পরবর্তীতে ‘রহস্যজনক’ কারণে জামিনে মুক্তি পান বাংলা ভাইয়ের এই সেকেন্ড ইন কমান্ড।
কিছুদিন পরে আবারও গ্রেফতার হন এ জেএমবি নেতা। ২০১২ সালের ২৩ জুলাই আবারও আটক হন র্যঅবের হাতে। এবারও আটকে রাখা যায়নি তাকে। আইনের ফাঁক গলিয়ে ঠিকই জামিন পান আদালত থেকে।
এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন এই জেএমবি নেতা। সংগঠিত করছিলেন নেতাকর্মীদের। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তার। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হামিরকুৎসা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বাগমারার যুগিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মীর্জা মাজহারুল ইসলাম জানান, মাহাতাব খামারু জেল থেকে বের হয়ে এসে এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে থাকতেন। তবে গোপনে জেএমবিকে সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা করতেন। আজ তাকে আটক করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই