হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

কৃষি ব্যাংকের পাঁচ ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসাবাদ

ব্যবসায়ীর এক হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পাঁচ সাবেক ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলীর নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন— বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মিরপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক রোকেয়া বেগম, চকবাজার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সোবহান, গাজীপুর জয়দেবপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক নিখিল রঞ্জন ভৌমিক, নন্দীপুর বাজার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. দিদারুল আলম ও গাজীপুর সফিপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আফছার উদ্দিন।

দুদক সূত্র জানায়, ব্যবসায়ী ওয়াহিদুর রহমানের তিনটি প্রতিষ্ঠানে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে কৃষি ব্যাংক বনানী শাখা থেকে ১৫২ কোটি টাকা লোপাটের অনুসন্ধানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঋণ প্রদানের সময় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ওই ব্যবস্থাপকগণ ঋণ মূল্যায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

দুদক আরও জানায়, ব্যবসায়ী ওয়াহিদুর রহমান বিভিন্ন সময় দেশের চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংক থেকে ৭৬৭ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৫২ কোটি, দি সিটি ব্যাংক থেকে ছয় কোটি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি থেকে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণের নামে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

ব্যবসায়ী ওয়াহিদুর রহমান বেশিরভাগ ঋণ নিয়েছেন ভুয়া ও বেনামী প্রতিষ্ঠানের নামে। ব্যাংকের ঋণের নথিতে উল্লেখিত ঠিকানার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন সময়ের অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এলে পরবর্তী সময়ে দুদক তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক প্রতিবেদনে এসব ঋণ আদায় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই