কুমিল্লা ও ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর সদর উপজেলার কসকা এলাকায় রোববার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৩৫ জন।
কুমিল্লা: জেলার চৌদ্দগ্রামে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। রোববার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার এলাকায় টাইম স্কয়ার হোটেলের সামনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাঁশবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম অভিমুখি সিকদার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাস ও ট্রাকের দুই চালক এবং ৪ বাসযাত্রীসহ ৬ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও বাসটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার লালবাগ এলাকায় রোববার ভোর সোয়া চারটার দিকে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হন। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। হতাহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট সাহাবুদ্দিন বলেন, নেত্রকোনা থেকে চট্টগ্রামগ্রামী জান্নাত পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক ঢাকাগামী বোরাক পরিবহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাস দুটি আটক করা হয়েছে।
ফেনী: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর কসকা এলাকায় বাস খাদে পড়ে তিন জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ২ নারীসহ তিন জন নিহত হন। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন।
পরে আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফেনীর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. অসিন কুমার সাহা জানান, আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের চিকিৎসা চলছে।
সদর উপজেলার মহীপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমদ পাঠান জানান, লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য চালু নেই