কুকুরের কাছে মাতৃস্নেহ পেল বিড়াল, একেই বলে মাতৃত্ব!

মা সেতো মা’ই। মাতৃত্ব নেই কোন প্রাণীর মধ্যে? এ প্রশ্নের উত্তরে সকলে বলবে পৃথীবির সকল প্রাণীর মধ্যেই মাতৃত্ব বিদ্যমান। হিংস্রপ্রাণী বাঘিনী কিংবা সিংহীর মধ্যেও অফুরন্ত মাতৃত্ব বিদ্যমান, তা আমরা টেলিভিশন বা সিনেমাতে দেখতে পাই।

বিপথগামী একটি ছেলে তার দুষ্টু বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় একটি মাথা কেটে আনার জন্য। ঘরের মধ্যে ঢুকে মাথাটি কেঁটে হাতে করে দরজা দিয়ে তাড়াহুড়ো করে বেরোনোর সময় ছেলেটি দরজার আড়কাঠের সঙ্গে পা বেঁধে পড়ে যায়। এমন সময় মাথাটি থেকে একটি বাক্য উচ্চারিত হয়,“কি-রে খোকা ব্যাথা পেলিনাতো?” কারণ মাথাটি ছিল তার মায়ের। গল্পটি ইতিহাসে যেভাবেই থাকনা কেন ‘মা’ এমনই, যে সন্তানের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিতে পারে।

প্রাণী বিজ্ঞানীরা বলেন, এই মাতৃত্ব রয়েছে অন্যান্য সকল প্রাণীর মধ্যেও। তবে এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে এটা কি করে সম্ভব! ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া বাজার সংলগ্ন জনৈক তুষার রায় ও বীনা রায়ের পরিবারে। আজ থেকে প্রায় এক বছর আগে একটি বিড়াল একটি বাচ্চা দিয়েই মারা যায়। তখন বাচ্চা বিড়ালটি আসহায় হয়ে সারা দিন ডাকাডাকি করে। এই দৃশ্য দেখে একই বাড়ীতে থাকা একটি মা কুকুর মাতৃস্নেহের ডালা নিয়ে বাচ্চা বিড়ালটির কাছে এগিয়ে আছে। দুগ্ধদানসহ সারা বেলা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোই ছিল কুকুরটির কাজ। শুধু দিনে নয় রাতেও বিড়াটিকে সাথে নিয়ে ঘুমুতো কুটুরটি। আজও সেই অবস্থা বিদ্যমান। গত এক বছরে অনেক বড় হয়েছে বিড়ালটি, অনেক আগে বুকের দুধও শুকিয়ে গেছে কুকুরের। কিন্তু আনমনা হয়ে এখনও বিড়ালটি দুধ খেতে যায় কুকরের কাছে। আর এ দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন এলাকার মানুষ ভিড় জমায় তুষার রায়ের বাড়ীতে।

এ সম্পর্কে তুষার রায় বলেন, আমরাও প্রথম প্রথম অবাক হয়ে যেতাম এই দৃশ্য দেখে। কারণ কুকুর ও বিড়ালের মধ্যে আবার এমনটি হয় নাকি। তবে আমরাও গর্বিত এই ভেবে যে এমন মাতৃস্নেহের একটি বিরল ঘটনা ঘটেছে আমাদের পরিবারে। এনিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক দিপক রায় বলেন, আমাদের কাছেও বিষয়টি একেবারেই নতুন। তাইতো বারে বারে এই দৃশ্য দেখার জন্য ছুটে আসি।



মন্তব্য চালু নেই