কী কী বাস্তুদোষ কাটায় ময়ূরের পালক, জানেন কি?

সে শোভা পায় শ্যামসুন্দরের চূড়ায়। তাকে দেখে শ্রীরাধার মনে পড়ে সতিমির রজনীর সচকিত অভিসারের কথা। সে শিখিপাখা। সে ময়ূরপুচ্ছ্। বর্ণে-আকৃতিতে-সৌন্দর্যে সে অনুপম। কিন্তু এখানেই তার গুণাবলি শেষ হয়ে যাচ্ছে না। গৃহসজ্জাকে অতিক্রম করে ময়ূরের পালক এক গুরুত্বপূর্ণ বাস্তু উপকরণ। বাস্তু-বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ময়ূরপুচ্ছ বহু প্রকারের বাস্তুদোষকে দূর করে। কীভাবে ময়ূর-পালক কাজ করে, সে বিষয়ে সবিস্তার জানাচ্ছেন তাঁরা।

• বাস্তুদোষ কাটাতে হলে প্রথমেই প্রয়েজন ৮টি ময়ূর-পালক। একটি সাদা সুতে দিয়ে তাদের একসঙ্গে বাঁধতে হবে। এবং ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ মন্ত্রোচ্চারণ করে সিদ্ধ করতে হবে।

• গৃহ থকে শিনির প্রভাব দুর করতে তিনটি ময়ূর-পালকের প্রয়োজন। কালো সুতো দিয়ে বেঁধে তাতা কতগুলো সুপারি যোগ করতে হবে। এর পরে জলের ঝাপটা দিয়ে ২১ বার ‘ওঁ শনৈশ্চরয় নমঃ’ মন্ত্রটি উচ্চারণ করতে হবে।

• কেউ যদি তাঁর লকারের কাছে ময়ূরের পালক রাখেন, তবে তা ধনবৃদ্ধির সহায়ক হয়।

• কোনও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখতে বাড়ির সদর দরজায় কয়েকটি ময়ূর-পালক রাখা জরুরি।

• ময়ুর-পালক গুলির যথাযথ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিয়েমিত সেগুলিকে পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।

• ময়ূর-পালক পোকামাকড় তাড়ানোতেও কাজে আসে।

• আর একটা ব্যাপার, ময়ূরপুচ্ছ নাকি প্রেমের ক্ষেত্রেও খুবই ফলদায়ী।



মন্তব্য চালু নেই