কীভাবে বুঝবেন মেয়েটিও আপনাকে পছন্দ করে?

ভালোবাসার ক্ষেত্রে দুজনেরই দুজনকে পছন্দ হওয়া জরুরি। কারণ, একপেশে ভালোবাসা কখনো পূর্ণতা পায় না। অনেক পুরুষই আছেন, যাঁরা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে নিজের ভালোবাসার কথা কখনো জানান না। এটা মারাত্মক ভুল। কাউকে ভালো লাগলে বা ভালোবাসলে সেটা তাঁকে জানানো উচিত।

কিছু কিছু লক্ষণ আছে, যা দেখে বোঝা যায় আপনি যে মেয়েটিকে পছন্দ করেন, সেই মেয়েটিও আপনাকে পছন্দ করেন। এমনই কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছে মেনএক্সপি ডটকম।

১. যখনই দুজন মানুষ একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন, সবার আগে সেটা বুঝতে পারেন তাঁদের বন্ধু-বান্ধব ও কাছের মানুষ। এমনকি অনেক সময় বন্ধুরাই আগে বুঝতে পারেন, আর তাই দুজনকে এক করার জন্য নানা রকম পদ্ধতি প্রয়োগ করেন তাঁরা। তাই খেয়াল রাখুন, বন্ধু বা কাছের মানুষের আড্ডায় কি আপনার সঙ্গে তাঁর নিয়মিতই দেখা হয়ে যাচ্ছে? তিনি কি আপনাকে দেখে খুশি হচ্ছেন? যদি খুশি হন, সেটা আপনার জন্যই শুভ লক্ষণ।

২. যখন দলবেঁধে কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন, তখন কি আপনার পছন্দের মানুষটি আপনারই আশপাশেই থাকে? সুযোগ পেলে আপনার কাছাকাছি এসে বসে? যদি এ রকম কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে সে-ও আপনার প্রতি আকৃষ্ট। তাই সামনে এগিয়ে যেতে দ্বিধাবোধ করবেন না।

৩. আপনি তাঁর দিকে তাকালে বা তাঁর প্রশংসা করে কিছু বললে সে কি লজ্জা পাচ্ছে? পেলে ভালো, কারণ এটা আপনার প্রতি সবুজসংকেত যে তিনিও আপনাকে পছন্দ করেন।

৪. অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে আপনাকে দেখলে কি আপনার পছন্দের মেয়েটি ঈর্ষান্বিত হচ্ছে? সে কি বারবার ওই মেয়েটি সম্পর্কে বা আপনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে চাইছে। যদি জানতে চায়, তাহলে বুঝে নেবেন আপনার প্রতি তাঁর আগ্রহই ওই মেয়েটির ব্যাপারে তাঁকে ঈর্ষান্বিত করে তুলেছে।

৫. চোখের দিকে খেয়াল করুন। আপনি যখন তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, সে কি সরাসরি আপনার চোখের দিকে তাকাচ্ছে? বা যখন দূরে সরে যাচ্ছে, তখন কি আড়চোখে আপনাকে দেখার চেষ্টা করছে। চোখ কিন্তু মনের কথা বলে। তাঁর চোখ যদি আপনাকে অনুসরণ করে, তাহলে মনও করছে নিশ্চিত!

৬. আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কি মেয়েটি আগ্রহী? আপনার পরিবার, প্রাক্তন প্রেমিকাদের সম্পর্কে কি সে জানতে চায়? এর মানে হচ্ছে, আপনার সম্পর্কে সে আগ্রহী। তবে তাঁকে সব কথা একবারেই বলে দেবেন না। একটু রহস্য রাখুন, যেন পরেরবার দেখা হলে সে আবার জানতে চায়। অথবা আপনার সম্পর্কে জানার জন্যই সে আবার দেখা করতে চায়।

৭. মেয়েরা অনেক সময় একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় নেয়। কারণ, সব ভেবেচিন্তেই তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তাই হয়তো অনেক মানুষের ভিড়ে বা বন্ধুদের আড্ডায় সে আপনাকে পাত্তা দিচ্ছে না, তবে যখন শুধু আপনারা দুজন থাকছেন, তখন ঠিকই পাত্তা দিচ্ছে। তার মানে সে আপনাকে পছন্দ করে ঠিকই, কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করুন, সব সময় কাছাকাছি থাকুন, সময় দিন। যাতে সে সবার সামনেই আপনাকে পাত্তা দেওয়া শুরু করে।

৮. যদি সে আপনার সঙ্গে কথা বলতে বা টেক্সট করতে পছন্দ করে, তার মানে আপনার এগিয়ে যাওয়া উচিত। দুজনের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে আলোচনা করুন। কথোপকথন বা টেক্সটিংকে দীর্ঘায়িত করুন।

৯. স্বল্প পরিচিত হওয়ার পরও সে যদি নিজের ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনার সঙ্গে আলাপ করে বা পরিবারের কোনো সমস্যা আপনার সঙ্গে শেয়ার করে, তাহলে বুঝবেন সে আপনার ওপর ভরসা করছে। ভরসা থেকেই ভালোবাসা জন্মায়। তাই মেয়েটি আপনার ওপর ভরসা করলে তাঁর ভরসার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করুন।

১০. সে কি আপনার ওপর রাগ করছে? ছোট-বড় যেকোনো বিষয়ই হোক, রাগ করাটাই বড় ব্যাপার! যদি রাগ করে, তাহলে সেটা আপনার জন্য ভালো। আপনার কোনো কাজ তাঁকে রাগান্বিত করছে, এর মানে আপনার ওপর তাঁর প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। ভালোবাসার মানুষের কাছেই আমাদের প্রত্যাশা থাকে।



মন্তব্য চালু নেই