কীভাবে বুঝবেন আপনার ‘নজর লেগেছে’? জেনে নিন

ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি কারো ‘নজর লাগা’র স্বীকার হয়েছেন কি না? সাধারণত কারো ‘নজর লাগলে’ বিশেষ কয়েক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কীভাবে বাঁচবেন ‘নজর লাগা’ থেকেও? ‘নজর লাগা’ কথাটা আমরা হামেশাই ব্যবহার করি। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ‘নজর লাগা’ একটি প্রচলিত ধারণা। সাধারণভাবে মনে করা হয়, আপনার জীবনের কোনও উন্নতি বা শ্রীবৃদ্ধি দেখে কেউ যদি মনে মনে ঈর্ষান্বিত হয়, তাহলে আপনার উপর সেই ঈর্ষার একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে আপনার কোনও গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। শারীরিক বা মানসিক পীড়ন থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত নাকি এর ফলে হতে পারে।

বলা হয়, আপনার শ্রীবৃদ্ধি দেখে যখন কেউ ইর্ষা বা ঘৃণা বোধ করে কিংবা নিজের জীবনেও সেই একই ধরনের উন্নতি আকাঙ্ক্ষা করে তখন তার শরীরে রজঃ ও তমঃ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এর ফলে তার শরীরে এক ধরনের নেতিবাচক শক্তি উৎপন্ন হয় এবং তার শরীর থেকে সেই শক্তি বিচ্ছুরিত হয়। সেই শক্তি যখন আপনার শরীর স্পর্শ করে তখন তার প্রভাবে আপনার স্থূলদেহ, প্রাণদেহ, মনোদেহ ও কর্ণদেহে নানা সমস্যা শুরু হয়। কিন্তু ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি কারো ‘নজর লাগা’র স্বীকার হয়েছেন কি না? সাধারণত কারো ‘নজর লাগলে’ বিশেষ কয়েক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন—

১. শারীরিক সমস্যা: যেমন, নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া, ক্রমাগত অসুস্থ হওয়া, দুর্বলতা, মাথা চোখ ও কানে আকস্মিক ব্যথা, শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়া।

২. মানসিক সমস্যা: যেমন, ক্রমাগত উদ্বেগ ও অবসাদে ভোগা, শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা, অবাঞ্ছিত ও অশুভ চিন্তা মনে আসা।

৩. শিক্ষাগত সমস্যা: যেমন, ভাল প্রস্তুতি সত্ত্বেও পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল করতে না পারা, পড়া ভুলে যাওয়া।

৪. আর্থিক সমস্যা: যেমন, চাকরি না পাওয়া, ব্যবসায় ব্যর্থতা, আর্থিক প্রতারণার সম্মুখীন হওয়া।

৫. পারিবারিক ও দাম্পত্য সমস্যা: বিয়েতে বাধা, সন্তান লাভে বাধা, গর্ভপাত, প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম।

কীভাবে বাঁচা যায় ‘নজর লাগা’ থেকে? সাধারণত নুন-সর্ষে দানা, নারকোল, শুকনো লঙ্কা, ফটকিরি প্রভৃতি উপাদান কাজে লাগিয়ে নানা বিচিত্র উপচারের মাধ্যমে নজর লাগার প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া যায়। সেইসব প্রক্রিয়ার বিবরণ আলোচনা করতে গেলে এক মহাভারত লিখতে হয়। কাজেই সেই প্রসঙ্গ আপাতত থাক। শুধু এটুকু বলা রইল যে, অতি জটিল ও দুরূহ সেইসব ক্রিয়াকলাপ। ‘নজর লাগা’র ধারণাটিই বিজ্ঞান-সমর্থিত নয়, কাজেই তা থেকে মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াটিও যে বিজ্ঞানের দ্বারা সিদ্ধ নয়, তা বলাই বাহুল্য।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই