কিস্তির সুযোগ রেখে ৫০হাজার টাকায় হজ নিবন্ধন

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন ফি দেড় লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। একই সঙ্গে নিবন্ধন পরবর্তী টাকা ১০ জুনের মধ্যে বিভিন্ন কিস্তিতে দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় হজের নতুন এ নিবন্ধন ফি ও কিস্তির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
সচিব জানান, ‘গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রিসভা সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিবারের মতো ২টি হজ প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছিল। হজে গমন আগ্রহীদের ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেড় লাখ টাকায় নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু হজ এজেন্সি মালিকদের আপত্তিতে এ নিবন্ধনের টাকা কমাতে এবং নিবন্ধন পরবর্তী টাকা কয়েক কিস্তিতে দেওয়ার সুযোগ রাখতে প্রস্তাব করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভা তা গুরুত্ব দিয়ে কমানোর পক্ষে এবং কিস্তি পদ্ধতিতে রাখার জন্য মত দিয়েছে।’
নতুন নিবন্ধন ফি সম্পর্কে সচিব বলেন, যারা সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন, তারা ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৫১ হাজার ৬৯০ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। অন্যদিকে বেসরকারি খাতের হজযাত্রীদের ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দিতে হবে ৪৮ হাজার ৩৩১ টাকা ৫০ পয়সা। বাকি টাকা ১০ জুনের মধ্যে বিভিন্ন কিস্তিতে দিতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধনে ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৯০ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
সরকার অনুমোদিত ২টি প্যাকেজে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জনসহ মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। তবে এবার হাজিদের এমআরপি পাসপোর্ট (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হজ পালনে আগ্রহীদের আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে (রবিউস সানির প্রথম দিন) অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



মন্তব্য চালু নেই