কিশোরগঞ্জে একমণ ধান বিক্রি করে এক কেজি মাংস কেনা যায়না

কিশোরগঞ্জে একমণ ধান বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পারছে না উপজেলার কৃষক।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে,হাইব্রিড জাতের ধান প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২৮০টাকা থেকে ২৯০টাকা,স্বর্ণা প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ৩২০টাকা থেকে ৩৩০টাকা,বি আর ২৮জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ৩০০টাকা থেকে ৩১০টাকা পর্যন্ত। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলার ২৭হাজার ২শত ১৫হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এবং প্রাকৃতিক ভাবে বড় ধরণের কোন দূর্যোগ না হওয়ায় বোরো ধান চাষ করে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে উপজেলার কৃষক। ধানের ভাল ফলন দেখে উপজেলার কৃষকের মনে আনন্দ ফুর্তি থাকলেও বাজারে ধানের উপযুক্ত মূল্য না পেয়ে হতাশায় ভুগছে ধান চাষিরা। এবারে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সরকারী ভাবে ধান ক্রয় করা এখন শুরু হয়নি। অন্যদিকে ধান কাটা ও মারাই খরচ বেশী হওয়ায় উপজেলার অনেক চাষী পাকা ধান কেটে বাড়ীতে আনতে পারছে না।
চাঁদখানা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ধান চাষী হাসানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান,ধানা কাটা ও মারাই শেষে কৃষকের মজুরী দিলে ঘরে আর ধান আসে না। ফলে ধান জমিতে এখনও আছে। কিশোরগঞ্জ বাজারে বুধবার (১৩-০৫-২০১৫) বিকালে গরুর মাংস কিনতে আসা সদর ইউনিয়নের পুষনা গ্রামের ওসমান গণির সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১কেজি গরুর মাংস কিনতে হলে একমণ ধান বিক্রি করার টাকার সাথে আরও বাড়ী থেকে ২০-৩০টাকা দিয়ে ১ কেজি মাংস কিনতে হয়। অপর দিকে মুশা গ্রামের জাহেদুল ইসলাম কপাল চাপরিয়ে বলেন,হায়রে ধান! আবাদ সুবাদ করে তোর টাকা তুই নিয়ে গেলু আর মোক দিলু শুধু মাত্র খড়।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান,ধান চাষিদের সাথে খোঁজ খবর নিয়ে ধান চাষে যেন কোন রকম সমস্যা না হয় সে জন্য চাষিদের ভাল পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং আল্লাহর রহমতে ধান চাষ করে উপজেলার সকল চাষী লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। আর সরকারী ভাবে ধান ক্রয় শুরু হলে চাষীরা উপযুক্ত মূল্য পাবে বলে আশা করছি।
মন্তব্য চালু নেই