কিভাবে মিডিয়ায় এলেন সিদ্দিক? তাহলে শুনুন ২০০৭ সালের ঘটনা…

নটরডেম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা সিদ্দিকের এখন পুরো মনোযোগ মিডিয়াতে অথচ তিনি বলছিলেন, ‘আমি মিডিয়াম্যান হবো কখনোই ভাবি নাই। ‘ কিভাবে মিডিয়ায় এলেন সিদ্দিক?

২০০৭ সালের শেষের দিকের ঘটনা। স্ক্রিনপ্লে রাইটার হিসেবে ইফতেখার আহমেদ ফাহমির জন্য লিখেন, ‘কবি বলেছেন। ‘ এটিই ছিল সিদ্দিকের প্রথম কাজ। কিন্তু পর্দার অভিনেতা সিদ্দিক হিসেবে অভিষেক আরেকটু পরে। দীপংকর দীপনের রুদ্র ও রোদেলা কাব্যতে অভিনয় করেন। এই নাটকে তার চরিত্রের নাম ছিল কাউয়া সিদ্দিক। সিদ্দিক বলেন, এই নাটকে ছিলেন মাহফুজ আহমেদ, রিচি সোলাইমান আর আমিও দিয়ে মানুষের কাছে বেশ পরিচিতি পেয়ে গেলাম। ভাবলাম আরেকটা নাটকে অভিনয় করি। ইফতেখার আহমেদ ফাহমির হাউজফুল করলাম। এইটা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে গেল যে আমার হাউজফুল আমার লাইফটাকে ফুল বানিয়ে দিল। ২০১৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘এই তো ভালোবাসা’ মুক্তি পেয়েছিল। সিদ্দিকের বিপরীতে নায়িকা ছিলেন অভিনেত্রী নিপুন।

সিদ্দিক বলেন, এরপরে করলাম মোস্তফা কামাল রাজের মাইক, পোস্ট গ্রাজুয়েট। আমার নিজের লেখা সাঁইয়া সাঁইয়া। একটা মানুষের পরপর এত হিট কাজ হয় না। আমার কীভাবে যেন হয়ে গেল। আমিও আনন্দিত চিত্তে কাজ করতে লাগলাম।

সিদ্দিকের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুরে। ঢাকায় আসা পড়াশোনার জন্য। এসে ভর্তি হন নটরডেম কলেজে। ১৯৯৯ সালে থিয়েটার আরামবাগে অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চে তার অভিষেক ঘটে। এ সময় ওই থিয়েটারের অধীনে তিনি বলদ, রাজার গল্প, পেজগীসহ বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এখন নটরডেম কলেজের আজীবন সদস্য। নিজের সংসার আর অভিনয় নিয়েই তিনি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মাঝখানে অভিনয় থেকে ৩ বছর বিরতি নিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্দিকের এই অনুপস্থিতি কারো চোখেই পড়েনি কেন না, তিনি এত বেশি কাজ করেন যে সেগুলো দিয়েই তিন বছর মেকআপ দেওয়া গিয়েছিল হয়তো।

ব্যক্তিজীবনে সদা হাস্যোজ্জ্বল সিদ্দিকুর রহমান। সব সময় ফূর্তিবাজ এই মানুষের বক্তব্য হলো, জীবনে এনজয়মেন্ট দরকার আছে। আমারও দুঃখ আছে, আমি দুঃখকে পুঁজি করি না। আনন্দে থাকতে চাই। ঘুম ছাড়া বাকি সময়টুকু কাজ আর আনন্দ। আনন্দময় জীবন হোক সবার। দর্শকদের উদ্দেশ্যেও সিদ্দিকের বক্তব্য ছিল, হাসির নাটক দেখতে হবে, মজার নাটক দেখতে। জীবনটাকে আনন্দময় রাখতে হবে।

বর্তমানে সিদ্দিকের ৯টি ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে। হাতে ১২টি নাটকের কাজ চলছে। প্রচারিত হচ্ছে যেসব উল্লেখযোগ্য পোস্ট গ্রাজুয়েট, রোমেলের কারসাজি, ফরিদুল কমেডি ৪২০, আরটিভিতে গায়ে মানে না। সোহাগ খানের তাল গাছ আমার, সবুজ ভাই মিয়া ভাই, খাইরুল পাপন হোম থিয়েটার। এ ছাড়াও নিজের লেখা ও পরিচালনায় হাসির নাটক ‘গফুরের বিয়ে’ ১৮ পর্বের ধারাবাহিকের শুটিং সম্পন্ন করলেন।



মন্তব্য চালু নেই