কিছু মানুষ কেন বেশি হাসে?

আপনি কি সামান্য একটি কৌতুক শুনেই হেসে কুটি কুটি হন ? নাকি কোন হসির ঘটনা দেখলেও আপনার মুখ থমথমে হয়ে থাকে ? এটা আসলে নির্ভর করে আপনার জিনের উপর। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি র মনোবিজ্ঞানের গবেষক Claudia Haase যৌথ একটি গবেষণার রিপোর্টে বলেন, “কেন কোন মানুষ অনেক বেশি হাসে এবং কেন কিছু মানুষ অনেক শান্ত থাকে এটা অনেক বড় রহস্য”। Illinois এর আরেক গবেষণা বলে,”যখন আমরা কোন হাসির জিনিষ দেখি তখন কে কিভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে তা নিয়ন্ত্রণে DNA এর বড় ভূমিকা আছে। মানুষের সংস্কৃতি ও ব্যাক্তিত্বের ও বড় ভূমিকা আছে এতে।“
মস্তিস্ক থেকে নিঃসৃত সেরোটোনিন মানুষের মন-মেজাজ, রুচি ও আশা-আকাঙ্ক্ষা কে নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিস্ক থেকে সেরোটোনিন নিঃসৃত হয়ে সেরেটোনিন ট্রান্স পোর্টার এর মাধ্যমে নার্ভ এর সাথে সংযোগ স্থাপন করে। ১৯৯০ সালে গবেষক Zeroed দেখেন যে, আপনার দেহে কত কপি সেরোটোনিন ট্রান্সপোর্টার তৈরি হচ্ছে তা নির্ভর করে 5HTTLPR নামক জিন এর প্রভাবে। প্রত্যেক মানুষ তার পিতা-মাতার কাছ থেকে শর্ট অ্যালিল ও লং অ্যালিল নামে দুই কপি জিন পেয়ে থাকে। দুই দশকের গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, এই শর্ট অ্যালিল ই নেগেটিভ ইমোশন এর জন্য দায়ী।
Live Science এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাওয়া যায় যে, যে সকল মানুষের ২কপি শর্ট অ্যালিল আছে তারা বেশি হাসে, যাদের ১টা শর্ট ও ১টা লং অ্যালিল আছে তারা মধ্যম হাসে এবং যাদের ২টাই লং অ্যালিল তারা কম হাসে।
বিজ্ঞানী Haase, Live Science কে বলেন যে, জিনের এই শর্ট ভার্সন ই মানুষকে অনেক বেশি সেন্সেটিভ করে যা তাদের জীবনে ভালমন্দ দুই রকম প্রভাব ই ফেলে।
তিনি আরো বলেন, 5HTTLPR জিন এর শর্ট ভার্সন যাদের আছে সেই সব মানুষ জাঁকজমক পূর্ণ ইতিবাচক বিয়ে করে এবং তাঁরা নেতিবাচক পরিবেশ এড়িয়ে চলে।
Young’sতার একটি গবেষণায় পান যে, শর্ট অ্যালিল এর মানুষদের মস্তিষ্কের থ্যালামাস বড় থাকে, যা আবেগ উৎপন্ন করতে সহায়তা করে।
মন্তব্য চালু নেই