কিছু অভিনব কাজ যা মাসে আনতে পারে লক্ষ টাকার বেশি রোজগার

অনেকেরই ধারণা, মোটা মাইনের চাকরি পেতে গেলে এমবিএ ডিগ্রি কিংবা কোনও মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে উচ্চপদে চাকরি করাটা অত্যাবশ্যক। এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করার জন্য ফোর্বস ম্যাগাজিনের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি প্রকাশিত সেই সমীক্ষার ফলাফলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এমন কয়েকটি কর্মক্ষেত্র, যেগুলিতে প্রথাবদ্ধ শিক্ষার বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করেও বছরে ৬৫ লক্ষ টাকার বেশি উপার্জন করা সম্ভব। এই অঙ্কটি অবশ্যই ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে। কিন্তু ভারতেও উদার অর্থনীতির এই বাজারে এই পেশাগুলি যথেষ্ট লাভজনক বলে প্রতিপন্ন হতে পারে।

• জ্যোতির্বিজ্ঞানী: মহাকাশ নিয়ে চর্চা করাই এঁদের কাজ। এঁদের গড় বার্ষিক রোজগার: ১ কোটি টাকা।

• ট্রান্সপোর্টেশন ইন্সেপক্টর: এঁদের প্রধান কাজ গণপরিবহন ব্যবস্থায় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা। এঁদের গড় বার্ষিক রোজগার: ৭৬ লক্ষ টাকা।

• গেমিং ম্যানেজার: না, এই ‘গেম’ আপনার মোবাইলের গেম নয়। এ হল ক্যাসিনোর খেলা। গেমিং ম্যানেজাররা সেই খেলাই পরিচালনা করেন। এঁদের গড় বার্ষিক রোজগার: ৮০ লক্ষ টাকা।

• মেক আপ আর্টিস্ট: মানুষকে সাজিয়ে তোলাই এঁদের কাজ। গড় বার্ষিক রোজগার: ৭৭ লক্ষ টাকা।

• ব্রডকাস্ট নিউজ অ্যানালিস্ট: নিউজ চ্যানেলে সম্প্রচারিত খবরের বিশ্লেষণ এঁদের পেশা। গড় বার্ষিক রোজগার: ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।

• লেখক: আমাদের দেশে অবশ্য সাহিত্যিক মানেই দীনদরিদ্র বলে মনে করা হয়, কিন্তু পাশ্চাত্য দুনিয়ায় লেখালিখি একটি লাভজনক পেশা। এঁদের গড় বার্ষিক রোজগার: ৭৭ লক্ষ টাকা।

• আর্ট, ড্রামা ও মিউজিক টিচার: স্কুলে কলেজে শিল্পকলা শেখানো এঁদের কাজ। গড় বার্ষিক রোজগার: ৮৭ লক্ষ টাকা।

• ডিটেকটিভ এবং ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেটর: এঁরা বাস্তব জীবনের ফেলুদা, ব্যোমকেশ। গড় বার্ষিক রোজগার: ৮৬ লক্ষ টাকা।



মন্তব্য চালু নেই