কাশি হলে করণীয়…

কাশি। কাশি হলে বুঝতে হয় শরীর সমস্যায় পড়েছে, সম্ভবত সে সমস্যা শ্বাসনালীতে। শ্বাসনালীকে পরিষ্কার করার জন্য আমরা কাশি।

কাশির সময় কী হয়?

আমাদের নাক ও মুখের পেছনদিকটা একই রকম। সেখান থেকে দুটো নালী আলাদা হয়ে যায় শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীতে। খাবার খাওয়ার সময় যাতে শ্বাসনালীতে খাবার ঢুকে না যায় তাই শ্বাসনালীর শুরুতে একটা দরজা থাকে। কাশির সময় সেই দরজা বন্ধ হয়, ফলে বুকে ফুসফুসের ভেতরের চাপ বাড়ে।

এই বাড়তি চাপে হঠাৎ দরজা খুলে গিয়ে ফুসফুসের বাতাস তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে আসে। তাড়াতাড়ি বাতাস বেরোনোর জন্য কাশির আওয়াজ হয়।

কাশি কোনো রোগ নয়

কাশি কোনো রোগ নয়, অনেক রোগের একটা সাধারণ উপসর্গ হল কাশি। অনেক রোগে কাশি হয়, যেমন—

১. শ্বাসতন্ত্রের জীবাণুসংক্রমণ—নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ইত্যাদি।

২. শ্বাসতন্ত্রের এলার্জি—যেমন হাঁপানি।

৩. শ্বাসতন্ত্রের ক্যানসার।

৪. শ্বাসনালীতে ধোঁয়া, ধুলো ঢুকলে—ধুমপানে, ধুলোময় কর্ম পরিবেশ।

কাশি হলে কী করবেন

১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং গরম পানির ভাপ নিন। ভাপ শ্বাসনালীতে গিয়ে জলে পরিণত হবে, কফ পাতলা হবে।

২. শুকনো কাশিতে গলা খুসখুস করলে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে কুলকুচি করুন। মুখে সাধারণ যে কোনো লজেন্স, লবঙ্গ বা আদা রাখলেও একটু আরাম পাওয়া যাবে।

কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে

১. কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে।

২. কফের সঙ্গে রক্ত পড়লে।

৩. কাশতে কাশতে শরীর নীল হয়ে গেলে।

৪. কথা বলতে কষ্ট হলে।

৫. দুধের বাচ্চা দুধ টেনে খেতে না পারলে।

৬ দুই সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে।

আমাদের দেশে প্রচুর যক্ষ্মা রোগী, তাই কোন রোগীর কাশি দুই সপ্তাহের বেশি হলে কফ পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ।
সূত্র: ইন্টারনেট



মন্তব্য চালু নেই