কার্যকর হলো জিটুজি প্লাস : মালয়েশিয়া গেলেন ৯৮ জন শ্রমিক
কার্যকর হলো ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতি। শুক্রবার রাতে এ পদ্ধতিতে ভাগ্যবান ৯৮ বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যাওয়ার মধ্যদিয়ে আবারো উন্মুক্ত হচ্ছে দেশটির শ্রমবাজার।
রাত সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি-০৮৬ ফ্লাইটে ৯৮ কর্মী এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটির) ছয় কর্মকর্তাসহ মোট ১০৪ জন মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। মালয়েশিয়াগামী ৯৮ কর্মীকে বিদায় দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ সচিব বেগম শামছুন্নাহার। সঙ্গে ছিলেন বিএমইটি মহাপরিচালক সেলিম রেজাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এর আগে মন্ত্রণালয় থেকে ১০২ জনের কথা বলা হয়েছিলো। তবে বিমান বন্দর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে জানানো হয়েছে বাকীদের আঙ্গুলের ছাপে গড়মিল হওয়ায় অফলোড করা হয়েছে।
রাতে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে শ্রমিকদের বিদায় দেয়ার সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রণালয়ের সচিব শামছুন্নাহার বলেন, এটি একটি প্রত্যাশা পুরণ হওয়ার মুহূর্ত।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে কলিং ভিসা চালুর পর ২০০৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত সরকারি হিসেব মতে সোয়া ৮ লাখ কর্মী যাবার পর মালয়েশিয়ার লেবার মিনিস্ট্রি চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে।তবে দীর্ঘ বিরতির পর আবারো ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে শ্রমিকদের প্রথম গ্রুপটি আজ মালয়েশিয়ায় গেল।
এ বিষয়ে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন জানান, জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে যাওয়া কর্মীর জন্য তিন বছর কাজের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে কর্মীরা নবায়নের মাধ্যমে ও নিয়োগকর্তা চাইলে ১০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।
মন্তব্য চালু নেই