‘কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য সংস্কার আর শান্তির জন্য সংলাপ’
সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংস্কারের মতো সংলাপ শব্দটিকেও এখন বির্তকিত করার অপচেষ্টা চলছে। ২০০৭ সালে সংস্কার শব্দকে বির্তকিত করা হয়েছিল। বলা হতো, ওরা সংস্কারপন্থী ওদের পেটাও। কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য সংস্কার আর শান্তির জন্য সংলাপ প্রয়োজন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের সামনে শনিবার বিকেলে নাগরিক ঐক্যের অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘সন্ত্রাস-সহিংসতা চাই না, শান্তি ও গণতন্ত্র চাই, জাতীয় সংলাপের বিকল্প নাই’ শীর্ষক এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সংলাপের প্রয়োজন আছে। এটা শুধু দুই দলের মধ্যে হলে চলবে না। জাতীয় সংলাপে বসতে হবে। দেশের মালিক হচ্ছে ১৬ কোটি জনগণ। কোনো দল, ব্যক্তি বা পরিবারের নয়। দেশের জনগণ শান্তি চায়, সুশাসন চায়, কার্যকর গণতন্ত্র চায়। এ জন্য জনগণের কথা শুনতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কথা শুনতে হবে। যারা সংবিধানকে বিশ্বাস করে তাদের বক্তব্য শোনা দরকার। জনগণের কথা শুনতে হবে। কোনো কর্মচারী কি তার মালিককে বলতে পারে, আপনি মালিক হতে পারেন, কিন্তু আপনার কথা শুনবো না?’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় সংলাপ-সমাঝোতার জন্য কাজ করব। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই। কারণ দেশের মধ্যে আজ একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে এবং গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ভুইয়া, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আহমেদ, ডেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই