কার্গো নিষেধাজ্ঞা : ৩১দিন পর পুনর্বিবেচনায় আসছে যুক্তরাজ্য

কার্গো পরিবহন নিষেধাজ্ঞার ৩১ দিন পর পুনর্বিবেচনার অংশ হিসেবে ৯ এপ্রিল বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিনিধি দল। অপ্রতুল নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত ৮ মার্চ বাংলাদেশের সঙ্গে আকাশপথে সরাসরি কার্গো পরিবহন স্থগিত এবং পরে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয় যুক্তরাজ্য। এরপর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণকাজের জন্য এরই মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, ৯ এপ্রিল ঢাকা আসছে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি) বিভাগের দুই সদস্যের উচ্চপর্যায়ের দল। সফরকালে প্রতিনিধি দলটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করবে।

প্রতিনিধি দলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্ধারণ হবে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট অবতরণে যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে কিনা।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাজ্য সরকার। কারণ যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যা যা দরকার সব করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৮ মার্চ শুক্রবার রাতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে টেলিফোনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি জানান বলে গুজব উঠেছিল। তবে এবারের বিষয়টি তেমন হবে না বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ৮ মার্চ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো পরিবহন নিষিদ্ধ করে যুক্তরাজ্য।

এর আগে গত বছর ১৯ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রস্তাব অনুযায়ী গত ২১ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণকাজের জন্য যুক্তরাজ্যের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রেডলাইন অ্যাসিউরড সিকিউরিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে বেবিচক।

চুক্তি অনুযায়ী, সংস্থাটি বিমানবন্দরে তিন ধরনের কাজ করবে। পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও বিমানবন্দরে যে জনবল আছে, তাদের পরিচালন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে তারা। দুই বছরের জন্য রেডলাইনকে এ দায়িত্ব দেয়া হলেও ছয় মাস পর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই