সমাপ্ত উদ্ধার কাজ, ৭০ মৃতদেহ উদ্ধার
কার্গোর ধাক্কায় যেভাবে ডুবে গেল লঞ্চটি
গতকাল রোববার সারবোঝাই কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া পয়েন্টের পদ্মায় এমভি মোস্তফা নামে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। আজ সোমবার ভোরে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ওই জাহাজটিকে উদ্ধার করে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০।
ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে জীবিত উদ্ধার করা যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার ১০ মিনিটের মাথায় দুর্ঘটনায় পড়ে। মাঝনদীতে গিয়ে লঞ্চটি ঘাট থেকে আড়াআড়িভাবে নদী পাড়ি দিয়েছিল। এতে ঢাকামুখী সারবোঝাই কার্গো জাহাজটি লঞ্চের মাঝখানে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই লঞ্চটি উল্টে যায়।
কুষ্টিয়ার বাসিন্দা মিলন মিয়া জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। তার তিন বছরের মেয়ে নীলিমাকেও জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছেন তিনি। মিলন জানান, তিনি মেয়েকে নিয়ে লঞ্চের সামনের অংশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ দেখেন, একটি কার্গো লঞ্চের দিকে আসছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই লঞ্চটি উল্টে গেলে তিনি নদীতে পড়ে যান। তবে তার স্ত্রী লিপি বেগমকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সোহরাব হোসেন তিন বছরের ছেলে জুনায়েদ আর স্ত্রী শিরিনকে নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামে যাচ্ছিলেন। ছেলের লাশ পাওয়া গেলেও স্ত্রীর হদিস নেই। সোহরাব জানান, কার্গো জাহাজটি জোরে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তেই লঞ্চটি ডুবে যায়। জীবন রক্ষায় লঞ্চের ছাদে ও সামনে থাকা মানুষ নদীতে লাফিয়ে পড়েন। তবে ভেতরের কেউ বের হতে পারেননি। তারা জানান, দোতলা লঞ্চটি পুরো বোঝাই ছিল।
পাটুরিয়া ঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির টিকিট ম্যানেজার মঞ্জু মিয়া জানান, ঘাট থেকেই ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটি দেখা যাচ্ছিল। যাত্রীবাহী লঞ্চটি ডুবতে পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় নিয়েছে। এতে ভেতরের কোনো যাত্রী বের হতে পারেননি। তারা শুধু নদীতে লাফিয়ে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য চালু নেই