কারাগারে পরোয়ানার কপি

মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা পারভেজ আহমেদ লাল কাপড়ে মোড়ানো পরোয়ানার কপি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেন। এর আগে দুপুরে ট্রাইব্যুনাল থেকে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘পরোয়ানা হাতে পেয়েছি। এটি এখন নিয়ম মেনে আসামিকে পড়ে শোনানো হবে। এরপরই আইনি পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

সোমবার সন্ধ্যায় মীর কাসেম আলীর ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি। এরপরই তার মৃত্যু পরয়োনা জারি করা হয়। সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে মীর কাসেম আলীর রায়ের ২৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়।

এর আগে গত ৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ছয়জনকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে মীর কাসেমের ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে বেকসুর খালাস চেয়ে আপিল করেন মীর কাসেমের আইনজীবীরা। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি তুলে ধরা হয়। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।



মন্তব্য চালু নেই