কামারুজ্জামানকে শেষ বিদায় জানালেন স্বজনরা
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেছেন তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
শনিবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে পরিবারের সদস্য ও স্বজন মিলে মোট ২৪ জন কারাগারে আসেন। সাক্ষাৎ শেষে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে তারা কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
এর আগে আজ বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে তার পরিবারের সদস্যদের কেন্দ্রীয় কারাগারে যেতে বলে কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাননি। কামারুজ্জামানের রায় কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল ও তানভীর মোহাম্মদ আজিম।
গত বুধবার সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছায়। কারা কর্তৃপক্ষ রায় পড়ে তাকে শোনায়। এরপর তার কাছে জানতে চায় তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না। কামারুজ্জামান এ ব্যাপারে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন। সে অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার সকালে তার আইনজীবীরা কারাগারে দেখা করেন। সাক্ষাতের পরে তার আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে তিনি ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল কামারুজ্জামানের কাছে প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে জানতে চান ম্যাজিস্ট্রেট।’
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে ময়মনসিংহের আলবদর কমান্ডার কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সেখানেও তার সর্বোচ্চ শাস্তি বহাল থাকে।
মন্তব্য চালু নেই