কামরুল বড় বেয়াদব : নজরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দেওয়ায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে বড় বেয়াদব বলে অভিহিত করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তাকে উদ্দেশ্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কতো বড় বেয়াদব হলে এতো বড় বেয়াদবি কথা বলতে পারে। দেশে কিছু রাজনৈতিক বেয়াদবের জন্ম হয়েছে, যারা রাজনৈতিক সম্মানী ব্যক্তিদের সম্মান দিতে জানে না। তারাই বেয়াদব।’

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ‘বেয়াদব’ হিসেবে অভিহিত করে সরকারের এই মন্ত্রী।

‘জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়া উচিত’ খাদ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম বলেন, বীর উত্তম উপাধি দিয়েছে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। এই কথা বলার আগে তার (কামরুল ইসলাম) বলা উচিত সেই সরকার যোগ্য ছিলেন না।

সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার বলায় ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে আসা বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে সমালোচনা থাকবে। সব বিষয়ে একমত নাও হতে পারে। যেসব বিষয়ে দ্বিমত থাকবে সেক্ষেত্রে যুক্তি দিয়ে জবাব দিতে হবে। কিন্তু সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীরা যুক্তি না দেখিয়ে গালিগালাজ করবে কেন? এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়, তাদের কাছে এর জবাব নেই।

পরাজিত হওয়ার ভয়েই সরকার নির্বাচন দিতে চায় না, দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা নির্বাচনে বিজয়ের নিশ্চয়তা চায়। কারণ তারা যে দুর্নীতি ও খুন-গুম করেছে এগুলোই পরাজয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু বিএনপি চায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। এই দাবি আদায়ে লড়াই চলছে।

‘গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, প্রয়োজনে গণতেন্ত্রর জন্য জীবন দেব’ বলেন তিনি।

অভিযোগ না করে ভবিষ্যত সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ওই আন্দোলনে নেতা হওয়ার সুযোগ থাকবে। যারা আন্দোলনে লড়াইয়ে মাঠে থাকবে তারাই হবে আগামী দিনের নেতা।

আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি রফিকুল কবির আল লাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ, সহ তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ড্যাবের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই