কাফন সম্পন্ন হওয়ার পর হটাত একটি অজগর সাপ
লোকটির কাফন সম্পন্ন হওয়ার পর হটাত লোকেরা একটি অজগর সাপকে দেখে কফন্টিকে পেছিয়া ফেলতে। কেউ তার পাশে পর্যন্ত ভিড়তে পারছিলনা। কিছুক্ষন পর সাপটি চলে গেলে লোকেরা দেখতে পায় যে লাশটির মুখ কুচকুচে কালো বীভৎস রুপ ধারন করে। অথচ লোকটির গায়ের রঙ ছিল ফর্শা। অবশেষে লাশের পিতাকে জিজ্ঞেস করে জানা যায় যে সে কখনোই নামাজ পড়তে চাইত না।
আমি মনে করি এই ঘটনাটা অবিশ্বাস করা বা এতে অবাক হওয়ার কিছুই নাই। কেননা আল্লাহ অতিতেও এরুপ অনেক দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন তার গাফেল বান্দাদের সতর্ক করার জন্য
আল্লাহ বলেনঃ
يوم تبيض وجوه وتسود وجوه فأما الذين اسودت وجوههم أكفرتم بعد إيمانكم فذوقوا العذاب بما كنتم تكفرون
“যেদিন কতকগুলো চেহারা হবে ঝক্ঝকে আর কতকগুলো চেহারা হবে মিসমিসে, তারপর যাদের চেহারা কালো হবে তাদের ক্ষেত্রে — ”তোমরা কি অবিশ্বাস পোষণ করেছিলে তোমাদের ঈমান আনার পরে? অতএব যন্ত্রণার আস্বাদ গ্রহণ করো যেহেতু তোমরা অবিশ্বাস পোষণ করছিলে।’’
সালাত পরিত্যাগ করা হচ্ছে কবিরা গুনাহসমুহের মধ্যে সবচে ভয়াবহ গুনাহ।
রসুল (স) বলেছেনঃ «العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر »
“আমাদের ও তাদের (কাফেরদের) মাঝে চুক্তি হলো সালাত; তাই যে তা ত্যাগ করে, সে কাফের হয়ে গেলো।”
[ইমাম আহমাদ ও সুনানের সংকলকগণ সহীহ ইসনাদ সূত্রে বুরাইদাহ-রাদিয়াল্লাহু আনহু-হতে বর্ণনা করেছেন]
আর রাসূল-সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী :
«بين الرجل وبين الشرك والكفر ترك الصلاة »
“একজন ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ত্যাগ করা।”
তিনি আরো বলেনঃ
أول ما يحاسب به العبد يوم القيامة الصلاة
আর কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাযেরই হিসাব নেয়া হবে। নামাযের হিসাব ঠিক থাকলে অন্যান্য আমলও ঠিক থাকবে। আর যদি নামযের হিসাব ভুল হয় তাহলে অন্যান্য আমলেও ভুল হবে।
আল্লাহ বলেন:
حافظوا على الصلوات و الصلاة الوسطى و قوموا لله قانتين
“তোমরা নামাযসমূহ ও মধ্যবর্তী নামাযকে (আছর) সংরক্ষণ কর এবং বিনীতভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হও। (সূরা বাকারা: ২৩৮)
প্রিয় ভাই ও বোনেরা! আসুন আমাদের প্রকৃত জীবনকে সাফল্য মণ্ডিত করার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামায যথাযথ সময়ে আদায় করি, আল্লাহ আমাদের সকলকে সেই তাওফীক ও শক্তি দান করুন। আমীন ॥
মন্তব্য চালু নেই