কান্নার জলে শক্তি অনেক
রবিউল ইসলাম : ছেলে মানুষ নাকি কাঁদতে পারে না?? আচ্ছা কে বলেছে এই কথাটা?? যারা বলে তাদের কে আমার কষাতে ইচ্ছে হয়……
ছোট থেকেই বড়দের মুখে শুনি আসছি “এই তুমি মেয়ে, আর ওহ ছেলে। ব্যস যোগ-বিয়োগ, গুন-ভাগ শুরু হয়ে যায় এইখান থেকেই। দুস্টুমি বা চঞ্চলের ছলেই ছোট থেকে একটা কথা মেয়েদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় “তোমার বিয়ে দিয়ে দিব’ –
ঠিক তেমনি অন্যদিকে একটা বাচ্চা ছেলে কান্না করলে বলা হয় “ছি ছি!! মেয়েদের মত কাঁদছ কেন?? তুমি কি মেয়ে?? সেই থেকে ছেলেটি সতর্ক হয়ে যায়। যতই কস্ট-ব্যাথা লাগুক, সে কাঁদতে পারেনা সবার সামনে। পাছে লোকে যদি তাকে কাপুরুষ ভাবে।
আজিব, কান্না যদি শুধু নারীদের হত তবে পুরুষের শরীরে অশ্রুগ্রন্থি থাকত না। তাই নয় কি?? পুরুষ মানে যেন কোন অন্য প্রানী। তারা কাদতে পারেনা, বিপদে কাতর হতে পারেনা, তাদের আবেগ থাকতে পারে কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশ একটু আবেগী হলেই তার গায়ে ‘তুই মেয়ে’ এই সিল লেগে যায়।
একটু ভাবুন, ছেলেরা কি মানুষ নয়। তাদের ও তো কস্ট হয়, কান্না পায়, তারাও কাদে। আবেগ বুকে পাথর চাপা দেবার মাঝে কোন বাহাদুরি নেই- সে যেই হোক না কেন।
#পরিশেষে, কান্নার জলে শক্তি অনেক। তুমি হয়তো সেটা এখনো জান না, জানিনা কোন একদিন এটা বোঝার ক্ষমতা তোমার হবে কিনা, তবে একটা কথা, সবাই কাদতে পারে না, আর অহেতুক কারো চোখে পানিও আসে না,
যে সময় পানি আসে হয়তো সেই সময় তার দুনিয়ায় বেঁচে থাকার শেষ আশা টুকুও ধীরে ধীরে ডুবে যেতে থাকে।
তবে যেন রাখ, কান্নায় লজ্জার কিছু নেই। মানুষ কষ্টে, দুঃখে,আনন্দে কাদে। সাদা রংগের এই জলে প্রকাশ ঘটে তিন অনুভূতির। এই সাধারন আবেগ থেকে নিজেকে দূরে ঠেলে পুরুষ প্রমানের কোন যৌক্তিকতা নেই।
মন্তব্য চালু নেই