কলোরেক্টাল ক্যান্সারের যে লক্ষণগুলো বুঝতে পেরেও গুরুত্ব দেন না অনেকে!
প্রাথমিক অবস্থায় কলোরেক্টাল ক্যান্সারের কোন তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষণ প্রকাশ করেনা। প্রারম্ভিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশনের মাধ্যমে নিরাময় লাভ করা যায়। ক্যান্সার স্ক্রিনিং টেস্টের মাধ্যমে এই রোগ শনাক্ত করা যায়। কলোরেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণগুলোর বিষয়ে জেনে নিই চলুন।
১. আন্ত্রিক অভ্যাসের পরিবর্তনঃ
কলোরেক্টাল ক্যান্সারের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে অন্ত্র আন্দোলনের পরিবর্তন। যদি আপনার ক্রমাগত কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া বা রেক্টাল ক্রেম্পিং বা ব্লিডিং হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে অন্তর্নিহিত কারণ জেনে নিন।
২. মলের সাথে রক্ত যাওয়াঃ
মলের সাথে রক্ত নির্গত হওয়া কলোরেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও এটি পাইলসের সাধারণ একটি লক্ষণ অথবা বিভিন্ন ধরণের পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। একজন গেস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট এর সাথে কথা বলে এবং পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করতে পারলে নিরাময় লাভ করা যায়।
৩. পেটের অস্বস্তিঃ
যদি না খাওয়ার পর ও আপনার পেট ভরার অনুভূতি হয় অথবা খুব কম খাওয়ার পর ও পেট ভরা মনে হয় এবং অস্বস্তি অনুভব করেন তাহলে তা হতে পারে কলোরেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণ। পেটের ব্যথা ও অস্বস্তি বদ হজমের লক্ষণ প্রকাশ করে। দীর্ঘদিন এই ধরণের সমস্যায় থাকলে পরীক্ষা করা উচিৎ।
৪. অন্ত্র খালি মনে হয়নাঃ
কলোরেক্টাল ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ হল অন্ত্র কখনোই খালি মনে হয়না। যদিও বেশীরভাগ মানুষই এটাকে বদহজমের ও লক্ষণ বলে মনে করেন। তাই সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
৫. চূড়ান্ত রকমের ক্লান্তিঃ
ক্লান্ত অনুভব করা, দুর্বল লাগা এবং ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া কলোরেক্টাল ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ। দৈনন্দিন কাজের জন্য যে শক্তি প্রয়োজন তা ক্যান্সার কোষ গ্রহণ করে বলে আক্রান্ত ব্যক্তি ক্লান্ত অনুভব করেন।
৬. অ্যানেমিয়াঃ
লাল রক্ত কণিকা কমে যাওয়াকে অ্যানেমিয়া বলে। লাল রক্ত কণিকাই সারা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে। অ্যানেমিয়া হলে আক্রান্ত ব্যক্তি এতোটাই ক্লান্ত ও অবসন্ন বোধ করেন যে বিশ্রাম নেয়ার পর ও ভালো অনুভব করেন না।
এছাড়াও পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা বা গ্যাসের ব্যথা হওয়া, অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া, বমি হওয়া ইত্যাদিও কলোরেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ করে। যদি এই লক্ষণগুলো দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলা ও পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করাটা জরুরী। প্রারম্ভিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে জীবন রক্ষা করা যায়।.
মন্তব্য চালু নেই