কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদ
কলারোয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়ীতে খাদ্যে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে সর্বশ্য লুটে নিলো দূর্বত্তরা
জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা):গতকাল শুক্রবার কলারোয়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে খাদ্যে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে গৃহকর্তাকে অজ্ঞান বাড়ীর নগদ টাকা, স্বর্ণের গহনা চুরি করে নিয়ে গেছে দূর্বত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মেহমানপুর গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলারোয়া হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মেহমানপুর গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের পুত্র ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পরিবারদের ধারনা বৃহস্পতিবার রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পরে মিজানুর রহমান অচেতন হয়ে পড়ে। পরে দূর্বত্তরা ঘরে ঢুকে নগদ ১০/১২ হাজার টাকা, ২টি স্বর্ণের রুলি, ২টি কানের দুল, ১টি আংটি নিয়ে পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মিজানুর রহমানের ঘুম না ভাঙ্গলে পাশের বাড়ীর লোকজনদের সন্দেহ হয়। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মিজানুর রহমান(৫২)কে উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার দিন অন্যান্য সদস্যরা কেহ বাড়ীতে না থাকার সুবাদে দূর্বত্তরা খাদ্যে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে এঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তাদের ধারনা। বর্তমানে মিজানুর রহমান সুস্থ্য রয়েছে। কিন্তু কোন কিছু সঠিক ভাবে বলতে পারছে না।
কলারোয়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে আটককৃত গৃহবধূকে হস্তান্তর
জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) : কলারোয়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এক বাংলাদেশী গৃহবধূকে বিজিবি কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটেছে,বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার চান্দুড়িয়ার গোয়ালপাড়া গ্রামে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার চান্দুড়িয়া বিজিবি ক্যাম্পের জেসিও নায়েক সুবেদার আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের জানান,যশোরের পুলেরহাট এলাকার শেখ লিয়াকত আলীর স্ত্রী শাখেরা বেগম (৪৫) বৃহস্পতিবার সকালে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে। এসময় ভারতের গোবরা বিএসএফ’র টহলরত সদস্যরা তাকে আটক করে। পরে বিকালে চান্দুড়িয়া সীমান্তের গোয়ালপাড়ার মেইন পিলার-১৭/৭এস এর নিকটে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটককৃত বাংলাদেশী গৃহবধূকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে। এঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি পাপোর্ট আইনে (মামলা নং-১৯)দায়ের হয়ছে।
কলারোয়ায় পিএসসি ও ইবতেদায়ী পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ॥ এখানেও সংখ্যায় এগিয়ে মেয়েরা
কামরুল হাসান,কলারোয়া ॥ কলারোয়ায় ছোটদের এসএসসি খ্যাত পিএসসি ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে। রোববার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা উপজেলার ১৩ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। কেবলমাত্র ইবতেদায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ টি কেন্দ্রে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার প্রাখমিক শিক্ষা সমাপনীতে ১৩৪ টি স্কুলের মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ৪,১৭১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ২০০৬ ও ছাত্রী ২,১৬৫ জন। অপরদিকে ইবতেদায়ীতে ৩২ টি মাদরাসার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৩৪ জন। এরমধ্যে ছাত্র ২৬২ ও ছাত্রী ২৭২ জন। প্রাথমিকে ও ইবতেদায়ীতে মেয়ে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি। উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়নের কেন্দ্রে একযোগে প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে কয়লা ইউনিয়নে কোনো মাদরাসা না থাকায় ইবতেদাযীর পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১২ টিতে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার প্রস্তুতিমুলক সভা হয়ে গেছে। সেই সভায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর হোসেন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে পরীক্ষার্থীরাও শেষ মুহূর্তের ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেক স্কুলে যেয়ে দেখা যায়, দিনে ও রাতে পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকবৃন্দের তত্ত্বাবধানে নিবিড় অনুশীলনে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় সোনাবাড়িয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলের দ্বিতল কক্ষে দেখা যায়, ৭০/৮০ ছেলে-মেয়েকে প্রধান শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করতে। প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক জানান, এরা রাতে বাড়িতে ঠিকমতো পড়াশোনা করে না। তাই তিনি নিজের তত্ত্বাবধানে এদের পাঠদান করেন। এতে অভিভাবকরাও অনেক খুশি। আবার ছেলেমেয়েরাও উপকৃত হচ্ছে বলে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দাবি করেন। সেই সাথে সকল কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম ও ওসি (তদন্ত) শেখ সফিকুর রহমান সহযোগি হিসাবে একাধিক অফিসার ও পুলিশ সদস্য নিয়োগ করেছেন। সবমিলিয়ে পরীক্ষার প্রথম দিন থেকে শেষ পরীক্ষা পর্যন্ত সবদিক দিয়ে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রতিটি কেন্দ্রের সচিবগণ।
কলারোয়ায় সজিবের দোয়া অনুষ্ঠান
কামরুল হাসান,কলারোয়া ॥ কলারোয়ার তরকারী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমানের ভাতিজা ও পৌর সভার ঝিকরা গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে সজিবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক দোয়া অনুষ্ঠান গত বুধবার জোহরবাদ নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার প্যানেল মেয়র মাগফুর রহমান রাজু, সমাজসেবক গোলাম রসুল, সেলিম হোসেন, ওহাবুজ্জামান মন্টু, আবু তাহের বাবলু মতিয়ার রহমান, বাপ্পী খাঁন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রজব আলী, শওকত হোসেন, হাবিবুর রহমান, আমিরুল ইসলাম, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ জিয়া, মনিরুল ইসলাম মনিসহ এলাকার সর্বস্তরের মুসুল্লীগন উপস্থিত হন। দোয়া পরিচালনা করেন কোল্ড স্টোরেজ মসজিদের ঈমাম আলমগীর হোসেন।
কলারোয়ায় খাবারে বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে নগদটাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
কামরুল হাসান,কলারোয়া ॥ কলারোয়ায় রাতের খাবারের সাথে চেতনা নাশক বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির কর্তাকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে দুবৃর্ত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মেহমানপুর গ্রামে। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মেহমানপুর গ্রামের মৃত আতিয়ার মোড়লের পুত্র মিজানুর রহমানের স্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকালে স্বামী মিজানুর রহমানের জন্য ভাত রান্না করে বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। এ সুযোগে কে বা কারা তাদের রান্না ঘরে ঢুকে ভাতের সাথে চেতনা নাশক বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে রেখে যায়। গৃহকর্তা রাতে বাড়ি ফিরে ওই ভাত খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে দুবৃর্ত্তরা রাতের কোন এক সময় ঘরে প্রবেশ করে নগদ ১০ হাজার টাকা, স্বর্ণের রুলি, এক জোড়া কানের দুল, আংটিসহ বাড়ির বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য ৮০ হাজার টাকা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। শুক্রবার সকালে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় মিজানুর রহমান(৫২) কে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কলারোয়া থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি বলে জানা যায়।
মন্তব্য চালু নেই