কলারোয়া (সাতক্ষীরা)’র বেশ কিছু খবর (২৯/১০/১৪)

ইক্বরা চাইল্ড স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ : কলারোয়া ইক্বরা চাইল্ড প্রিক্যাডেট স্কুলের অভিভাবক সমাবেশ মঙ্গলবার স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু।

Kalaroa school pic-28

স্কুলের সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম বিলালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অভিভাবক সমাবেশে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ তোজাম্মেল হোসেন মানিক, রমজান আহম্মেদ, আশরাফ আলি, মাস্টার বদরুজ্জামান বিপ্লব, শেখ শাহাজাহান আলি শাহিন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদসহ স্কুলের সম্মানিত অভিভাবকমন্ডলী। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল আসাদুজ্জামান ফারুকী।

মাসিক চোরাচালান নিরোধ কমিটির সভাসহ পৃথক ৩টি সভা: কলারোয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পৃথক ৩টি পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রথমে  মাসিক চোরাচালান নিরোধ কমিটির সভা, তারপর মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা এবং সবশেষ মাসিক এনজিও কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, ইউপি চেয়ারম্যান সহাকারী অধ্যাপক এমএ কালাম, ভুট্টোলাল গাইন, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার রাশেদুল হাসান কামরুল, উপজেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজিজুল হক, উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, হিজলদী বিজিবি প্রতিনিধি নায়েক শাহিন, চান্দুড়িয়া বিজিবি প্রতিনিধি হাবিলদার আজাহার, মাদরা বিজিবি প্রতিনিধি হাবিলদার অসিত, কাকডাঙ্গা বিজিবি প্রতিনিধি হাবিলদার সিরাজ ও এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ। সভায় চোরাচালন রোধ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রথমবারের মতো সীমান্তে গরুর খাটালের বিষয়ে সরকার গত ২২ সেপ্টেম্বর একটি নীতিমালা প্রনয়ন করেছে বলে সভার সভাপতি ইউএনও অনুপ কুমার তালুকদার সকলকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি, সংশ্লিষ্ট এলাকার বিজিবি প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এবং রাজস্ব কর্মকর্তাকে সদস্য করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সভায় সকল সদস্য উপস্থিত থাকলেও রাজস্ব অফিসের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় রাজস্ব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে পুলিশের পাশাপাশি সকল সুধিসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক প্রতিরোধে পুলিশের সাথে সাথে স্কুল কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও মন্দিরের পুরোহিতদের বেশিবেশি করে সচেতনতামূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় বিধি বিধানের কথা তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার তালুকদার ও থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমের যৌথ ঘোষণায় উপজেলার মাদক পল্লি খ্যাত লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নকে মাদক মুক্ত মডেল ইউনিয়ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এজন্য ইউএনও, ওসি, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, শিক্ষক, ইমাম, পুলিশিং কমিটি, স্থানীয় সুধিবৃন্দের সমন্বয়ে একটি কমিটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যে কমিটি আগামি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই ইউনিয়নে প্রথম সভায মিলিত হবেন বলে জানানো হয়।
Kalaroa News Pic-28
কাউন্টার ট্রাফিকিং কমিটি ও মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা: উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে কাউন্টার ট্রাফিকিং কমিটির মাসিক সমন্বয় সভা ও মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১২টায় চাইল্ড সেফটি নেট প্রজেক্ট, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে’র সহযোগিতায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার তালুকদার। সভার শুরুতে অনুমোদনের জন্য বিগত সভার কার্যাবলী পাঠ করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব নূরুন নাহার আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য দেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, ইউপি চেয়ারম্যান সহাকারী অধ্যাপক এমএ কালাম, ভুট্টোলাল গাইন, স,ম মোরশেদ আলি(ভিপি মোরশেদ), কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার রাশেদুল হাসান কামরুল, উপজেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মকর্তা আবদুল হামিদ, শিক্ষা কমৃকর্তা আকবর হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজিজুল হক, কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার খাঁ, উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষক নেতা প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ আমান, প্রাইমারি শিক্ষক নেতা প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল মান্নান, বিআরডিবি’র সহকারী পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দীন,  হিজলদী বিজিবি প্রতিনিধি নায়েক শাহিন, চান্দুড়িয়া বিজিবি প্রতিনিধি হাবিলদার আজাহার, মাদরা বিজিবি প্রতিনিধি হাবিলদার অসিত, কাকডাঙ্গা বিজিবি প্রতিনিধি হাবিলদার সিরাজ, সাংবাদিক জুলফিকার আলি, এমএ সাজেদ, আসাদুজ্জামান, আরিফ চৌধুরী, ফিরোজ, সমবায় সহকারী পরিদর্শক মুর্শিদ আলম, উপজেলা মসজিদের ইমাম মাওলানা কামরুল ইসলাম, ঢাকা আহছানিয়া মিশন’র মাহমুদুল হাসান, ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রতিনিধিবৃন্দ, ব্র্যাক’র আসমা খাতুন প্রমুখ।
Kalaroa news pic-27ওয়ার্কার্স পার্টির পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত: কলারোয়া পৌর শহরে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির এক পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, কলারোয়া উপজেলা শাখার ব্যানার, ফেস্টুন ও পতাকা সম্বলিত এক পদযাত্রা কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে শুরু হয়ে পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে শেষ হয়। সেখানে আয়োজিত সমাবেশে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, কলারোয়া উপজেলা শাখার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, নির্মল সরকার, অজিত কুমার মন্ডল, অধ্যাপক আবুল খায়ের, অধ্যাপক শেখ জাভিদ হাসান, পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বিশ্বনাথ করাল, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক অমৃত মন্ডল, যুব মৈত্রী নেতা ফিরোজ বিশ্বাস, আবু হায়াত মোস্তফা কামাল বাবু, আব্দুল কাদের প্রমুখ। বক্তারা আগামি ২৯ নভেম্বর ঢাকা মহাসমাবেশ সফল করার জন্য নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, কলারোয়া উপজেলা শাখার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আব্দুর রউফ জানান, পার্টির ২৯ নভেম্বরের কেন্দ্রীয় সমাবেশের সমর্থনে কলারোয়া পৌর শহরে এই পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
Kalaroa Photo-27কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ আলীর ‘জেনারেল ওসমানী স্বর্ণপদক’ অর্জন: কলারোয়ার ৮ নং কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলী ‘জেনারেল ওসমানী স্বর্ণপদক’ ২০১৪ লাভ করেছেন। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এই পদক অর্জন করেছেন বলে জানা গেছে। ‘স্বাধীন বাংলা সংসদ(স্বাবাস)’ নামের একটি অরাজনৈনিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ইউপি চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলীকে এই পদক প্রদান করে। স্বাবাস’র সভাপতি শাহ আলম চুন্নু ও সাধারণ সম্পাদক সাবরিনা সুইটি স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ বাগিচা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই পদক সম মোরশেদ আলীকে প্রদান করা হয় বলে জানা যায়। সোমবার সকালে সম মোরশেদ আলী ‘জেনারেল ওসমানী স্বর্ণপদক’ ২০১৪ প্রাপ্তির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। ‘জেনারেল ওসমানী স্বর্ণপদক’ নিয়ে এ পর্যন্ত কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলী মোট ৪ বার সমাজসেবামূলক কাজে অবদানের জন্য স্বর্ণপদক লাভ করেন। কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলীর এ স্বর্ণপদক অর্জনে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদসহ এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: কাজীরহাট কলেজ, কাজীরহাট হাইস্কুল, কাজীরহাট গার্লস হাইস্কুল, বিএসএইচ সিংগা হাইস্কুল এবং নাকিলা, ইলিশপুর ও বলিয়ানপুর প্রাইমারি স্কুল।
কলারোয়ায় বিশাল গণ সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী

ভিসা ব্যবস্থা সরল করা হবে
IDHC2 (1)বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার শ্রী সন্দীপ চক্রবর্তী বলেছেন, সাতক্ষীরাবাসীর জন্য ভিসা ব্যবস্থা সরল করা হবে। বাংলাদেশের লোকেরা ভারতের সাথে বিভিন্ন সম্বন্ধ বানাতে চায়। ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম দেশ। এ দুদেশের মানুষের সম্পর্ক প্রাণের সম্পর্ক। আত্মীয়তার সম্পর্ক। বিশ্বে এমন কোনো দেশ নেই, যাদের সম্পর্ক এতো ঘনিষ্ট, এতো আন্তরিক। তিনি বলেন, এদেশের মানুষের আত্মীয় ওপারে(ভারত) আছে, আবার ওপারের মানুষের আত্মীয় এপারে(বাংলাদেশ) আছে। তাই এ সম্বন্ধের জন্যই ভিসার দাবি অনেক বেড়ে গেছে। আর এজন্যই প্রয়োজন ভিসা ব্যবস্থা সরল করার। ভিসা ব্যবস্থা যাতে সরল করা যায়, শীঘ্র সে কাজ করা হবে। তিনি রোববার রাতে কলারোয়া ফুটবল ময়দানে ‘বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও’ এর এক বিশাল গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার আরও বলেন, সাতক্ষীরা ও কলারোয়ার মানুষ যেনো মনে করেনা, তারা একলা। পুরো বাংলাদেশ, পুরো ভারত আপনাদের সাথে আছে। আমার মনে হয় এখানে জঙ্গীবাদ জায়গা পাবে না। জঙ্গীবাদ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পুরো বিশ্বকে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। জঙ্গীরা মানবাধিকার মানে না, ধর্ম মানে না, রাষ্ট্র মানে না। এরা জানে কীভাবে অস্থিরতা করতে হয়। ভারত-বাংলাদেশ জঙ্গীবাদ নির্মূলে একসাথে কাজ করে যাবে। কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রখ্যাত সাংবাদিক আবেদ খান, সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, ভারতীয় হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর সুজিত ঘোষ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা, ৩৮বিজিবি ব্যাটালিয়েনের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নাজির আল বকসী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, আনন্দবাজার পত্রিকার চিফ সাব এডিটর অনমিত্র চ্যাটার্জি, নারী নেত্রী নাসরিন খান লিপি প্রমুখ। প্রখ্যাত সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, জঙ্গীবাদ যেকোনো মূল্যে নির্মূল করতে হবে। এদেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করে দেয়া দরকার। তিনি সাতক্ষীরাকে মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ‘যুক্ত কর হে সবার সঙ্গে, মুক্ত কর হে বন্ধ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে হওয়া কলারোয়ার গণসমাবেশে মানুষের ঢল নামে। অসম্প্রদায়িক প্রগতিশীল কলারোয়া গড়ার দীপ্তি ছিলো প্রতি মানুষের চোখে-মুখে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আ’লীগর সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা শেষে গভীর রাত পর্যন্ত পরিবেশিত হয় বাপ্প্া মজুমদারের ‘দলছুট’ ও অন্যান্য কলাকুশলীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে সন্ধ্যায় কলারোয়ার সীমান্তবর্তী সোনাবাড়িয়া শ্যামসুন্দর মন্দির ও রাতে কেঁড়াগাছিতে শ্রীশ্রী ব্রক্ষ্ম হরিদাস ঠাকুরের জন্মভিটা আশ্রম মন্দির পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ। সন্ধ্যায় প্রায় পৌণে ৪শ’ বছরের পুরানো এই ঐতিহাসিক মন্দিরে শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি ও পুষ্পপাপড়ি বর্ষিয়ে বরণ করে নেয়া হয় অতিথিদেরকে। মন্দির পরিদর্শনকালে ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুপ্রতিম দুটি রাষ্ট্র। আমাদের এ বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট থাকবে। তিনি এখানকার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে বলেন, পুরানো এই মন্দিরটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এজন্য তিনি উদ্যোগী ভূমিকা নিবেন বলে আশ্বাস দেন। সোনাবাড়িয়া থেকে রাতে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছি গ্রামে অবস্থিত শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা পরিদর্শন করেন। হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগীবৃন্দ এ সময় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। মন্দিরে প্রার্থনা শেষে সেখানে আয়োজিত বর্ণাঢ্য বিশাল অনুষ্ঠান দেখে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিজের মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করেন। এ সকল অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ বিএম নজরুল ইসলাম, ইউএনও অনুপ কুমার তালুকদার, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, আ’লীগ নেতা অধ্যাপক এমএ ফারুক, আব্দুল হামিদ সরদার, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শহিদুল ইসলাম, ভূট্টোলাল গাইন, সহকারী অধ্যাপক এমএ কালাম, সম মোরশেদ আলী, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মাহমুদ, নির্বাহী সদস্য শিক্ষক দীপক শেঠ, আতাউর রহমান, এমএ সাজেদ, সাংবাদিক সহকারী অধ্যাপক কে,এম আনিছুর রহমান, জাকির হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, ফিরোজ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা, সাধারণ সম্পাদক সিদ্বেশ্বর চক্রবর্তী, হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা আশ্রমের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র মিত্র, সাধারণ সম্পাদক সন্দ্বিপ রায়, আ’লীগ নেতা আজিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন, কাজী সাহাজাদা, শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুর রহিম, শেখ আশিকুর রহমান মুন্না, আসাদুজ্জামান তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হারুন-অর-রশিদ, সাইদ, ছাত্রলীগ নেতা শেখ ইমরান হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, কাজী নবাব, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক জনতা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

 



মন্তব্য চালু নেই