কলারোয়ায় শ্রমিক সংগঠক আজহারুল আর নেই
কলারোয়ার সবার অতি পরিচিত শ্রমিক সংগঠক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আজহারুল হাসান (৫২) আর নেই। শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২ টার দিকে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না ….. রাজেউন)। তাঁর পিতার নাম ইসলাম হাসান।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে, ভাই-বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জানা গেছে, ঢাকায় অধ্যয়নরত একমাত্র মেয়ের সাথে দেখা করতে কয়েকদিন আগে সেখানে তিনি যান। শনিবার রাতে বিছানায় যাওয়ার পর পরই তিনি প্রচন্ড অসুস্থ বোধ করেন। রাত ১২ টার পরে হাসাপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। আজহারুল হাসান ছিলেন একজন প্রথিতযশা সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বত্র একজন গুণী শ্রমিক নেতা হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিলো। আশির দশকে এই জেলার একজন ডাকসাঁইটে ফুটবলার ছিলেন তিনি। সেই সময়ে ফুটবল খেলা দেখতেন- এমন সকল দর্শক আজহারুল হাসানকে এক নামে চিনতেন।
শ্রমিক সংগঠন পরিচালনা, জনসেবা ও ক্রীড়াঙ্গণে তাঁর বর্ণিল পদচারণা ছিলো। কলারোয়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাব ছিলো প্রয়াত আজহারুল হাসানের নিজস্ব ভূবন। এই প্রতিষ্ঠান দু’টো তাঁর প্রাণের চেয়ে প্রিয় ছিলো। কলারোয়া পৌরসভা গঠনের আগে তিনি নিজ গ্রাম গদখালি ওয়ার্ডের একজন ইউপি সদস্য ছিলেন।
রোববার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজারো মানুষ ছুটে আসেন মরহুমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গদখালি গ্রামের বাড়িতে। কলারোয়ার সকল এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতি বলে দেয়, মানুষ হিসেবে আজহারুল হাসান কতো লোকপ্রিয় ছিলেন। শোকে-দু:খে কাতর হতে দেখা গেছে শোকার্ত মানুষকে। সর্বদা মুখে হাসি লেগে থাকা মানুষটির অসময়ে এইভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি কেউ।
রোববার আছরের নামাজের পর কলারোয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাযা পূর্ব আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন সাবেক মন্ত্রী সেয়দ দীদার বখ্ত, অধ্যাপক বজলুর রহমান, কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরাফাত হোসেন, মাওলানা গোলাম রসুল শাহী, বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা আব্দুর রউফ প্রমুখ। জানাযা নামাজ পড়ান মাওলানা আব্দুল বারী।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাওলানা তৌহিদুর রহমান। জানাযা শেষে নিজ গ্রাম গদখালির পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই