কলারোয়ায় এলজিইডির সাথে ত্রি-পক্ষীয় বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষর
এলজিইডির আওতাধীন অংশগ্রহণমূলক ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা জেলাধীন কলারোয়া উপজেলায় ক্ষেত্রপাড়া উপ-প্রকল্পের ত্রিপক্ষীয় বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে ক্ষেত্রপাড়া পানি ব্যাবস্থাপনা সমবায় সমিতির অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠ করেন সমিতির সম্পাদক সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন।
শনিবার বিকালে চার টায় উপজেলার ১ নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ক্ষেত্রপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি জয়দেব কুমার সাহা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলার এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম শাহিদুর রহিম, কলারোয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবেদুর রহমান, জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান মালী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আব্দুল আজিজ, সাধারন সম্পাদক তাপস কুমার পাল, অবসারপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মোত্তালিব খান, সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি মাহফুজার রহমান, সদস্য আজগর আলী সানা, শেখ আমজেদ হোসেন, আব্দুল খালেক গাজী, তানজিলা খাতুন, চায়না খাতুন, আব্দুল্যাহ আল মামুন প্রমুখ।
ত্রিপক্ষীয় বাস্তবায়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সাতক্ষীরা, ক্ষেত্রপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি: এবং ১ নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ। অতঃপর অত্র চুক্তিনামা পাঠ করে শুনান এলজিইডি’র সোসিও-ইকোনমিষ্ট মোঃ হাছিবুজ্জামান। উপ-প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে যা বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে অবদান রাখবে এবং পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির মাধ্যমে অত্র এলাকার মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন তথা দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখবে।
চুক্তি মোতাবেক এলজিইডি ও পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সিমিতি যৌথভাবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, খাল পুন:খনন, স্লুইজ গেট, ফুট ওভার ব্রীজ ও সমিতির অফিস ঘর নির্মাণ করবে।
অনুষ্ঠান শুরুতে কোরআন তেলয়াত করেন মাওলানা নুর ইসলাম। গীতা পাঠ করেন তারক নাথ। অনুষ্ঠান শুরুতে সমবায় সমিতির সদস্যরা আমন্ত্রিত অতিথির ফুল দিয়ে বরন করে নেন।
মন্তব্য চালু নেই