কলারোয়া, সাতক্ষীরার কিছু খবর :

কলারোয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির আলোচনা সভা

বুধবার সকাল ১১টায় কলারোয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর আলী, উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আবেদুর রহমান, কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান ভূট্টো লাল গাইন, লাঙ্গলঝাড়া কেএল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ সাহী সদস্য আকলিমা খাতুন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এসএম আফজাল হোসেন, উপজেলা রিসোস সেন্টারের শেখ মতিউর রহমান ও প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

কলারোয়ায় ওয়ারেন্ট ভূক্ত ২ আসামী গ্রেফতার
কলারোয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্ট ভূক্ত মামলার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, গতকাল ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই মোজাম্মেল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলা পৌর সদরের মুরারিকাটি গ্রামের সামাদ হাজরার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৫)কে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে জিআর নং-১২/১৪ মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। অপর দিকে ভোর রাতে উপজেলার ছলিমপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৮)কে তার বাড়ী থেকে থানার এএসআই কামরুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে সিআর-১২৭/১৪ মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।

কলারোয়ায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে সাধারণ মানুষ নাজেহাল ।। পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
কলারোয়ায় এক শ্রেণীর টাউট প্রতারক চক্র বিভিন্ন সরকারি অফিসে গিয়ে নিজেকে সচিব নজরুল ইসলাম খানের পরিচয় দিয়ে সুযোগ সুবিধা আদায়ের তৎপরতায় রয়েছে। গত ৩মাস ধরে এধরনের অপকর্ম চলছে বলে একাধিক সরকারি কর্মকর্তারা গতকাল বুধবার কলারোয়া প্রেসক্লাব ও রিপোর্টাস ক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন। খোজ নিয়ে দেখা গেছে, ওই প্রতারক চক্র প্রথমে সরকারি অফিসে গিয়ে তাদের প্রোগ্রামের সংবাদ বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে চলে আসে। পরে ওই সংবাদ কোন টেলিভিশন ও পত্রিকায় প্রকাশ না হওয়ায় ওই প্রতারক চক্রকে খোজ নিতে এ ঘটনা প্রকাশ পায়। এমন কি ওই প্রতারক চক্র কোন লেখা পাড়া জানে না, নিজের নাম ভালো ভাবে লিখতেও পারে না, কম্পিউটার চালাতে বোঝে না, ইন্টারনেট কি তা জানে না, সাংবাদিক শব্দের অর্থ কি তাও জানে না। সকাল হলে কাঁধে ও মাজায় একটি ক্যামেরা নিয়ে ছুটতে থাকে কোথায় কোন সভা, সেমিনার, প্রোগ্রাম হচ্ছে কিনা?। তারা সকাল-সন্ধ্যা হলে এদিক ওদিক প্রেস লেখা মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটা ছুটি করে এ অবৈধ অপকর্ম চালিয়ে যায়। আর সন্ধ্যা হলে ২/৩জনকে সাথে নিয়ে নজরুল সাহেবের আম বাগান ,পুকুর ধারে, জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের মধ্যে, ডাক বাংলার মোড়ে মুক্তিযোদ্ধা মিজানের সদ্য নির্মিত ৩তলা পরিতাক্ত ভবনে, রুচিরা বেকারীর পার্শ্বে পরিতাক্ত ২য়তলা ভবনে, ডাকবাংলা রোডের এমআর ফাউন্ডেশন মার্কেটের ভিতরে গাজার আড্ডা বসানো হয়। মাঝে মধ্যে এরা ফেনসিডিল সেবন করে ১শ’গ্রাম চিনি দিয়ে এক কাপ চা খেয়ে থাকে। এদের কাছে স্থানীয় কম্পিউটার থেকে জালজালিয়াতী করে প্রেস কার্ড তৈরী করে নিয়ে জনসাধরনকে প্রতারনা ফাঁদে আটককে ফেলে। এই প্রতারক চক্রের কোন দাওয়াত লাগেনা সভা সেমিনা হলেই হলো। খাওয়া দেখলে খেতে বসে যায়। আর সেখানে গিয়ে একাধিক উল্টোপাল্টা ছবি তুলে নিজেকে দেখানো হয় বড় মাপের একজন সাংবাদিক। আসলে কি ওই ছবি কোন টেলিভিশনে বা পত্রিকায় প্রকাশ পাবে। এদিকে এমন ঘটনায় কলারোয়ার প্রকৃত সাংবাদিকদের মানসম্মান ও গ্রহনযোগ্যতা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তাই কোন অফিস আদালতে টাউট বাটপাড় ব্যক্তিরা সাংবাদিক পরিচয় দিলে তাৎক্ষনিক ভাবে কলারোয়া প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং থানা পুলিশে খবর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই