কলারোয়া (সাতক্ষীরা) কিছু খবর
কলারোয়ার সরসকাটির শহিদ মিনারটি ঢাকা পড়েছে মাটির নিচে
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ বিধৌত জনপদ কলারোয়ার সরসকাটি বাজার। সরসকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রয়েছে দীর্ঘদিনের পুরানো একটি শহিদ মিনার।
এখানে এ জনপদের ভাষাপ্রেমি মানুষ শহিদ দিবসে ভাষাশাহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে এই বাজারের একমাত্র শহিদ মিনারটি মাটিতে দেবে গেছে ৩/৪ ফুটের মতো। এখন কেবলমাত্র মাটিতে দেবে যেতে বাকি আছে মিনারের স্তম্ভের উপরিভাগ। নিচের ভাগ ইতোমধ্যে চলে গেছে মাটির নিচে। এই অবস্থা চলছে কয়েক বছর ধরে। এই শহিদ মিনারটির বেহাল দশা থেকে উত্তরণে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে ভাষাশহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের ক্ষেত্রে অতৃপ্তি বোধ করেন এলাকার ভাষাপ্রেমিরা।
জানা গেছে, কপোতাক্ষ তীরবর্তী সরসকাটি মাধ্যমিক স্কুল ময়দান পানিতে প্লাবিত থাকতো গোটা বর্ষা মৌসুম জুড়ে। এই কারণে স্কুল ময়দানে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। প্রায় ৪/৫ ফুট উঁচু করা হয় ময়দানটি। এতে শহিদ মিনারটির একটি বড় অংশ চলে যায় মাটির নিচে। ঢাকা পড়ে যায় শহিদ মিনারের প্লাটফর্মসহ স্তম্ভের ৩/৪ ফুট। এইভাবে শহিদ মিনারটির অবকাঠামোটি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। যা এই এলাকার ভাষাপ্রেমি প্রতিটি মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারা চাইছেন এখানে পরিপূর্ণ কাঠামোর একটি শহিদ মিনার আবারও গড়ে তোলা হোক।
এ বিষয়ে আলাপকালে সরসকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইবাদুল হোসেন জানান, স্কুল ময়দানে মাটি ভরাটের কাজ করতে যেয়ে শহিদ মিনারটির নিচের অংশ মাটিতে ঢাকা পড়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীরা এরপরেও এই মিনারে ভাষাশহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তিনি বলেন, স্কুলের শিক্ষকমন্ডলীসহ এলাকার মানুষ চাইছেন এই স্থানে একটি নতুন শহিদ মিনার গড়ে উঠুক। তিনি নিজে এজন্য ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে কথা বলেছেন। তারপরেও কোনো কাজ হয়নি।
এই বিষয়ে জয়নগর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, তিনি পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কেউ তার কাছে শহিদ মিনারের বিষয়ে কোনো কথা মৌখিক বা লিখিতভাবে জানাননি। একজন ভাষাপ্রেমি হিসেবে তিনিও চান সরসকাটিতে একটি নতুন শহিদ মিনার নির্মাণ করা হোক। এরজন্য তিনি সব ধরনের উদ্যোগ নিতে সবসময় প্রস্তুত আছেন বলে জানান। তিনি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে আমাদের স্বাধীনতা। এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয় বিশ্বব্যাপি। শিক্ষার্থীসহ দেশ ও ভাষাপ্রেমি প্রতিটি মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সবখানেই শহিদ মিনার নির্মিত হওয়া প্রয়োজন বলে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহম্মেদ মনে করেন।
কলারোয়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির পিপিএমকে অভিনন্দন
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির দ্বিতীয় বারের মতো রাষ্ট্রপতি পদক (পিপিএম) লাভ করায় ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক নেতারা অভিনন্দন বার্তায় বলেন, একসময়ের অশান্ত ও অভিশপ্ত সাতক্ষীরাকে পুরোপুরি শান্ত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সুপারের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের কথা চিরকাল সাতক্ষীরার শান্তিপ্রিয় মানুষ মনে রাখবে। পহমফ হভপক তাঁর সুস্বাস্থ দীর্ঘ জীবন ও কর্মময় জীবনের সফলতা কামনা করেন কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
অভিনন্দন জ্ঞাপনকারীরা হলেন কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুল, সহ সভাপতি সহকারী অধ্যাপক কে,এম আনিছুর রহমান ও হাসান মাসুদ পলাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান পল্টু, সাংবাদিক নেতা সহকারী অধ্যাপক এমএ কালাম, শিক্ষক সাংবাদিক দীপক শেঠ, শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, আনোয়ার হোসেন, শেখ মোসলেম আহম্মেদ, আব্দুর রহমান, আতাউর রহমান, প্রভাষক হাফিজুর রহমান, মাসুদ রানা, এমএ সাজেদ, মনিরুল ইসলাম মনি, তাওফিকুর রহমান সনজু, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
কলারোয়ায় বিএনপি নেতাসহ আটক তিন
কলারোয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক বিএনপি নেতাসহ ৩ জনকে আটক করেছে। থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে ২ জনকে এবং বুধবার সকালে ১ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মৃত আফসার আলীর পুত্র ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান বিএসসি (৬৭), চিতলা গ্রামের মৃত মানদার সরদারের পুত্র আব্দুল মালেক এবং পৌরসভার গদখালী গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র সিআর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মারুফ হোসেন মিন্টু (৩৫)।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম আটকের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, আটককৃত মিজানুর রহমানকে ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল অবরোধে যুগিবাড়ি এলাকায় পরিবহন ভাংচুরের মামলায় (নং-১০) এবং অপরজনকে ৩৪ ধারায় আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই