কলাতলীর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ কক্ষে ৪ শতাধিক ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন ২ শিক্ষক

ভোলার মনপুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ শতাধিক ছাত্র/ছাত্রীদেও পড়াচ্ছেন ২ জন শিক্ষক। প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেনীর পাঠদান চলছে টিনসেড ঘরের ১টি কক্ষে। ২ জন শিক্ষকের পক্ষে শত শত ছাত্র/ছাত্রীকে পাঠদান করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া টয়লেট ও টিউবওয়েল সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত বিদ্যালয়টি।

মনপুরা উপজেলার মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর। এই চরে প্রায় ২০ হাজার লোকের বসতি। এখানে রয়েছে সহ¯্রাধিক শিশু। যার বেশীর ভাগই ছিল শিক্ষা বঞ্চিত। বিদ্যালয়টি উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের আন্দির পাড় এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরে। পরবর্তীতে কলাতলীর চরের ঝড়ে পরা শিশুদের কথা বিবেচনা করে ২০১২ সালে মনপুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অফিস খালের হিন্দু কলনীর পাশে স্থানান্তর করে নেয়া হয় । বিদ্যালয়টি বিচ্ছিন্ন চরে স্থাপনের পর থেকে নানাবিদ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে।

সরেজমিনে কলাতলীর চরে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি ভাঙ্গাচোরা একটি টিনসেড ঘরে স্থাপিত রয়েছে। ঘরের একটি কক্ষে পাঠদান চলছে ৪ শতাধিক ছাত্র/ছাত্রীর। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্যতীত একমাত্র শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল আলম এর সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে ৫ম শ্রেনীসহ সকল ক্লাসের পাঠদান চলছে একই কক্ষে। যেখানে স্কুলটিতে ৭ জন শিক্ষক থাকার কথা সেখানে রয়েছে ২ জন শিক্ষক। এছাড়া ভবন সংকট, টয়লেট সংকট, বিশুদ্ধ পানির টিউবওয়েল সংকট সহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে স্কুলটি।

এব্যাপারে মনপুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(দায়িত্বে থাকা) মোঃ জসিম জানান, বিদ্যালয়টি কলাতলীর চরে হওয়ায় খুবই অবহেলিত রয়েছে। এখানে ভবন সংকট, শিক্ষক সংকটসহ নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। শিক্ষা অফিস ইচ্ছা করলে খুব সহজেই শিক্ষক সংকট ঘোচাতে পারে। আর ভবনের জন্য আমরা উপরস্থ দপ্তরে আবেদন করেছি।

এব্যাপারে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি আমরা অবগত আছি। ভবনের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। আর ওই স্কুলের নামে একটি টিউবওয়েল বরাদ্ধ দেয়া আছে। খুব শিঘ্রই তা বাস্তবায়ন করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই