কলকাতায় বাড়ছে আর্সেনিক দূষণ, সমাধান কী?

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে কলকাতায় আর্সেনিক দূষণের মাত্রা। ‘এনভায়রনমেন্টাল মনিটরিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট জার্নাল’-এর সেপ্টেম্বর ইস্যুতে প্রকাশিত একটি আর্টিকল অনুযায়ী কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০০টি ওয়ার্ডেই আর্সেনিক দূষণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। সাম্প্রতিক এই গবেষণায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ওয়ার্ডগুলিতে আর্সেনিক দূষণের মাত্রা ‘হু’ বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত ‘সেফ লিমিট’-এর তুলনায় অনেকটাই বেশি।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে ২০০৯ সালে আর্সেনিক দূষণ সীমাবদ্ধ ছিল শহরের মধ্য, দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে। কিন্তু বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার অনেকটা অংশে দূষণের মাত্রা কমলেও উত্তর কলকাতার একটি বিরাট অংশে দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মূল উত্তর কলকাতা ছাড়িয়ে আরও উত্তরের অংশটি যা আগে ‘সেফ জোন’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল, সেখানে ৭ বছরে আর্সেনিক দূষণ এতটাই বেড়েছে যা এখন তা ‘ক্রিটিক্যাল’ লেভেলে পৌঁছে গিয়েছে।

শনিবার ‘ক্লাইমেট কনক্লেভ ২০১৬’-তে এই দূষণের বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। যেহেতু আর্সেনিক দূষণযুক্ত জল মূলত টিউবওয়েল থেকেই পাওয়া যায়, তাই আগামী ৩ বছরের মধ্যে শহরকে টিউবওয়েল-মুক্ত করার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া জানিয়েছেন, আগামী দু’বছরের মধ্যে বাড়ানো হবে দিনপ্রতি পুরসভার জল সরবরাহ।

এখন প্রতিদিন ১৮০ মিলিয়ন গ্যালন জল সরবরাহ করা হয় কিন্তু আগামী দু’বছরের মধ্যে তা বাড়িয়ে ২১০ মিলিয়ন গ্যালনে পৌঁছনোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুরসভার পক্ষ থেকে জলের সরবরাহ যত বেশি হবে, ততই টিউবওয়েল বা গ্রাউন্ডওয়াটারের উপর নির্ভরতা কমবে এবং কিছুটা হলেও আর্সেনিক দূষিত জলের ব্যবহার কমানো যাবে।



মন্তব্য চালু নেই