কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যপালা মঞ্চায়িত

মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়: আজকের বিশ্বে একমাত্র দেশজ সংস্কৃতিই পারে বিশ্বায়নের উন্মূল সময়ের মানবিক সংকটে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে বাংলার জনপদের হাজার বছরের সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ঐতিহাসিক ধারাকে টিকিয়ে রাখতে । তাই সময়ের দাবিতে সাড়া দিয়ে মানুষ ও গণসাংস্কৃতিক আন্দোলনে সামিল হতে নিজ দেশ এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করে, ময়মনসিংহ ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনায় “চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব ১৪২২” উদযাপন উপলক্ষ্যে ২য় বারের মত মঞ্চায়ন হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্যবাহি নৃত্যপালা ‘ভাঙড় গৌরির নৃত্য’ ।

সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে থাকা খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার কিছু অংশে সনাতন ধর্মাবলম্বী ক্ষত্রিয় সম্প্রদায় ব্রিটিশ ঔপনেবেশিক শাসনের কাল থেকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজার সময় দেবাদিদেব শিবকে কেন্দ্র করে এ নৃত্যপালার আয়োজন করে থাকে। যার মূল উপজীব্য রামায়ণ ও মহাভারতের পৌরাণিক কাহিনীর খন্ডাংশ।

d2

সংলাপ বিহীন এ নৃত্যপালায় শুধুমাত্র বাদ্যযন্ত্রের অনুষঙ্গে সঙ্গীত নির্ভর অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নৃত্যের তালে তালে বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্রের রূপদান করে থাকে। মূলত গ্রামের প্রান্তিক শ্রমজীবি, কৃষিজীবি মানুষ এসব নৃত্যপালায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।

মঞ্চায়িত এই নৃত্যপালার নির্দেশনা দিয়েছেন চারুকলা বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপঙ্কর বৈরাগী। তিনি বলেন, বাংলার লোকসংস্কৃতির অসামান্য, অনন্য ও বর্ণাঢ্য এ বিপন্ন ধারাকে সংরক্ষণ বা উদযাপন নয়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে “মুক্তি সংগ্রামের চেতনা” নির্ভর সংস্কৃতি চর্চার অভ্যাস ও অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রকাশ ও বিকাশে আমাদের এই উদ্দীপিত প্রয়াস। আশা করি অন্য সকলেই নিজের মত করে এর থেকে অনুপ্রাণিত হবে। প্রাণে প্রাণে লোকজীবনের এই বার্তা ছড়িয়ে দেবে।

d1 d4



মন্তব্য চালু নেই