কথিত বন্ধুক যুদ্ধে নিহত তরিকুলের ৩ এতিম সন্তানের ঈদ হবে এবার চোখের পানিতে

তোহা আলম প্রিন্স, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত তরিকুল ইসলামের পরিবার এখনও শোকে স্তব্ধ হয়ে আছে। থেকে থেকে চলছে আহাজারী আর বোবা কান্না। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম পুরুষ মানুষটি হারিয়ে তরিকলের বিধবা মা মাহমুদা বেগম ৩ টি নাবালক এতিম সন্তান ও ছেলের বউকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

মৃত্যুর ১ মাস পর গতকাল শক্রবার সকালে তরিকলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী মাহমুদা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান সতা হাস্যময় ও মিশুক ব্যাক্তি তরিকুলই ছিল পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম পুরুষ। তার অভাবে সংসারের হাল ধরার মত বাড়িতে আর কোন পুরুষ নেই। তরিকুলের মৃত্যুর আগে সে বাড়ীতে কিছু চাল বানিয়ে রেখেছিল সেটা দিয়েই এখন আমাদের খাওয়া-দাওয়া চলছে।

পরে কি হবে আমাদের জানা নেই। আসন্ন ঈদুল-ফিতরে এতিম বাচ্চাদের জন্য একটি সুতার কাপড় ও কিনতে পারেনি এখন পর্যন্ত, পারবেও না তারা কিনতে। তার স্ত্রী আরও জানায় তরিকুলের ৩ ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে আনিছ (১১) হিলি কওমী মাদ্রাসায়, মেয়ে তামান্না (৮) বাগজানা নুরানী মাদ্রসায় লেখা পড়া করছে। এছাড়াও আদমান নামের ২ বসরের একটি শিশু রয়েছে তাদের পরিবারে।

এদের ভবিষ্যৎ কি হবে তারা জানে না। তরিকুলের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন অনেকেইতো এখনও ইন্ডিয়ান মালের ব্যাবসা করছে তাদেরতো কিছু করা হচ্ছে না ? তরিকুলের নামে বেশির ভাগই পলাতক মিথ্যা মামলা দিয়েছে প্রশাসন।

এর জন্যই আমার ব্যাটাকে তারা গুলি করে মারল। উল্লেখ্য গত ১লা জুন বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার সীমান্ত ঘেষা ধরঞ্জী ইউনিয়নের শালুয়া বিলের শিমলতলা শ্মশান ঘাট এলাকায় বিজিবি-পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম (৩৮) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন। সে একই ইউনিয়নের চকশিমুলিয়া গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই